পহেলগাঁও নিয়ে ঝড় উঠবে Monsoon Session-এ, INDIA জোটের ভার্চুয়াল বৈঠক থেকে আক্রমণের সুর বাঁধলেন অভিষেক
জানা যাচ্ছে, একাধিক বিষয়ে সংসদে বিরোধীদের সওয়াল করার কথাও বলেন তৃণমূলের সেনাপতি। তাঁর কথায়, “বিদেশে প্রতিনিধিদল পাঠিয়ে ভারত কী অর্জন করল?

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি, ৯.৪৫: আগামী ২১ জুলাই, সোমবার থেকে সংসদের বাদল অধিবেশন শুরু হচ্ছে। তার আগে শনিবার ইন্ডিয়া জোটের নেতৃত্বরা ভার্চুয়াল বৈঠক সারলেন। সেই বৈঠকে তৃণমূলের তরফে যোগ দিয়েছিলেন দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। শনিবার সন্ধ্যা ৭টায় শুরু হয় বৈঠক। কলকাতা থেকে যোগ দেন অভিষেক। সংসদে পহেলগাঁও জঙ্গি হামলা নিয়ে বিরোধীদের সরব হতে বলেন অভিষেক। তিনি ছাড়াও বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন কংগ্রেস নেত্রী সোনিয়া গান্ধী, লোকসভার বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধী, রাজ্যসভার বিরোধী দলনেতা মল্লিকার্জুন খাড়গে, কংগ্রেস নেতা জয়রাম রমেশ, শিবসেনা উদ্ধব শিবিরের সঞ্জয় রাউত, উদ্ধব ঠাকরে, কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী অমর আব্দুল্লা, ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন, সিপিআইএমের সাধারণ সম্পাদক এমএ বেবি প্রমুখ।
সূত্রের খবর, বৈঠকে অভিষেক বলেন, “সংসদে পহেলগাঁও হামলা নিয়ে প্রশ্ন তোলা উচিত বিরোধীদের। গোয়েন্দা ব্যর্থতার জেরে এত ভয়াবহ হামলা হল, তারপরেও আইবি প্রধানের মেয়াদ কেন বাড়ানো হয়েছিল? সে প্রশ্নও করা উচিত।” জানা যাচ্ছে, ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ বলেন, “প্রশ্ন করা উচিত, সন্ত্রাসবাদ দমনে পেগাসাস ব্যবহার না-করে, কেন বিরোধীদের ওপর তা ব্যবহার করা হয়েছে?”
জানা যাচ্ছে, একাধিক বিষয়ে সংসদে বিরোধীদের সওয়াল করার কথাও বলেন তৃণমূলের সেনাপতি। তাঁর কথায়, “বিদেশে প্রতিনিধিদল পাঠিয়ে ভারত কী অর্জন করল? দেশের মানুষকে সঠিকভাবে জানানোই হয়নি ভারতের আদৌ কোনও লাভ হয়েছে কি-না, দেশের মানুষের কাছে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের কথা অনুসরণ করা ছাড়া আর কোনও বিকল্প ছিল না, ইত্যাদি বিষয়গুলো নিয়ে সংসদে সুর চড়ানো উচিত বিরোধীদের।”
সূত্রের খবর, ভোটার তালিকার বিশেষ (নিবিড়) পর্যবেক্ষণ নিয়েও বৈঠকে উষ্মা প্রকাশ করেছেন অভিষেক। উদ্বেগের কথা জানিয়ে তিনি বলেন, “ভোটদাতাদের বাদ দিতে বিজেপি ও নির্বাচন কমিশন পিছনের দরজা দিয়ে এনআরসি চালু করার চেষ্টা করছে এই পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে। বিজেপি দুই ই-কে ব্যবহার করছে। বিরোধী নেতাদের বিরুদ্ধে ইডি আর ভোটদাতাদের বিরুদ্ধে ইলেকশন কমিশন।”
উল্লেখ্য, কংগ্রেস সভাপতি তথা রাজ্যসভার বিরোধী দলনেতা মল্লিকার্জুন খাড়গে দিল্লির বাড়িতে ইন্ডিয়া শিবিরের বৈঠক হওয়ার কথা ঠিক হয়েছিল। তৃণমূলের তরফে বলা হয়, ২১ জুলাই শহিদ দিবস। তাই জোড়াফুলের কোনও প্রতিনিধি বৈঠকে থাকতে পারবেন না। তারপরই ঠিক হয় ভার্চুয়াল মাধ্যমে বৈঠক হবে। সেই মতো শুক্রবার সন্ধ্যায় জানানো হয়, তৃণমূলের তরফে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বৈঠকে থাকবেন। আজ তিনি বৈঠকে যোগ দেন। ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে পর এই প্রথম ইন্ডিয়া জোটের কোনও সভায় তৃণমূলের কোনও প্রতিনিধি যোগ দিলেন। জাতীয় রাজনীতির প্রেক্ষাপটে যা খুবই তাৎপর্যপূর্ণ।