পৌষের মূলো দিয়েই পুজোর নিয়ম এই কালীর

শনি ও মঙ্গলবার বাংলার বহু মন্দিরে স্বগরিমায় পূজিতা হন দেবি পৌষকালী। তাছাড়া তাছাড়া অমাবস্যা ও পূর্ণিমা তিথিতেও এই কালীর পুজো করা হয়।

December 30, 2023 | 2 min read
Published by: Drishti Bhongi

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: বাংলার সংস্কৃতির একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ পৌষকালী পুজো। পৌষ মাসে বাংলার নানা প্রান্তে মহাসমারোহে পুজো করা হয় দেবীর। এই কালী মূলোকালী রূপেও খ্যাতা। শনি ও মঙ্গলবার বাংলার বহু মন্দিরে স্বগরিমায় পূজিতা হন দেবি পৌষকালী। তাছাড়া তাছাড়া অমাবস্যা ও পূর্ণিমা তিথিতেও এই কালীর পুজো করা হয়।

মূলো দিয়ে পুজো দিয়ে ভক্তরা নিজেদের পাপকর্ম দেবীকে সমর্পণ করেন। আর দেবী তা নিজ মধ্যে ধারন করে ভক্তকূলকে পূন্য,শান্তি ও সুখ, সমৃদ্ধি দান করেন বলে তাঁদের বিশ্বাস। এই মূলো দেবীকে দান করার পর চৈত্র মাস পর্যন্ত ভক্তরা আর মূলো খেতে পারে না। এই পুজো বারো মাসে বারো দুর্গার আরাধনার এক অংশ।

পৌষকালী কালীর মূর্তি গঙ্গা বা অন্য কোনো পবিত্র নদীর মাটি দিয়ে তৈরি করা হয়। এই দেবী দক্ষিণাকালী বিগ্রহের রঙ কালো অথবা নীল। চার হাতের ডানদিকের উপরের হাতে শঙ্খ, ডানদিকের নিচের হাতে খড়্গ, বামদিকের উপরের হাতে বরদ মুদ্রা এবং বামদিকের নিচের হাতে নরমুণ্ডের অবস্থান।

পৌষকালী পূজার দিন সকালে ভোরবেলায় স্নান করে নতুন কাপড় পরে ভক্তরা পুজো দিতে স্থানে যান। দেবীকে ফুল, ফল, মিষ্টি, নৈবেদ্য নিবেদন করেন। প্রদীপ জ্বালিয়ে দেবীর আরতি ও পুজোর শেষে ভক্তরা দেবীর কাছে আশীর্বাদ প্রার্থনা করেন।

পৌষকালী পুজো পশ্চিমবঙ্গের নদীয়া, হুগলি, বাঁকুড়া, মেদিনীপুর, বর্ধমান জেলায় এটি বিশেষভাবে জনপ্রিয়। বাংলার বিভিন্ন জেলায় পৌষকালী পুজোর দিন মেলাও বসে। তাই পৌষকালী পুজো বাংলার একটি আনন্দঘন উৎসবের মধ্যে অন্যতম।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

ভিডিও

আরও পড়ুন

Decorative Ring
Maa Ashchen