ভাষা বিতর্ক উসকে দিয়ে অমিত শাহ বললেন, ‘ইংরেজি বলেন যারা, শীঘ্রই লজ্জিত হবেন’
পাশাপাশি মন্ত্রীর আশা, ২০৪৭ সালে উন্নত ভারত গড়ে তুলতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেবে আমাদের দেশের আঞ্চলিক ভাষাগুলি।

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি, ১৯:৪৪: কে কী খাবে, কী পড়বে, কত তাপমাত্রায় এসি চালাবে এসবের পর কে কোন ভাষায় কথা বলবে এটাও ঠিক করে দেবে কেন্দ্রের বিজেপি সরকার? প্রসঙ্গ উঠেছে, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহের একটি বক্তব্যের পর।
আজ বই প্রকাশের এক অনুষ্ঠানে গিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন ইংরেজিতে কথা বলেন যারা একদিন তারা লজ্জিত হবে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কথায়, “আমাদের দেশ, সংস্কৃতি, ইতিহাসকে বুঝতে কোনও বিদেশি ভাষা সহায়ক হতে পারে না। আমি জানি লড়াইটা কত কঠিন। কিন্তু আমি এটাও জানি, ভারতীয় সমাজ জিতবে।”
তিনি আরও বলেন, “আমাদের দেশ, সংস্কৃতি, ইতিহাসকে বুঝতে কোনও বিদেশি ভাষা সহায়ক হতে পারে না। আমি জানি লড়াইটা কত কঠিন। কিন্তু আমি এটাও জানি, ভারতীয় সমাজ এটা জিতবে। আমরা আমাদের ভাষাতেই দেশ চালাব।”
কেন তিনি একথা বলেছেন তার ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে শাহ জানান, ভারতের ভাষাতাত্ত্বিক ঐতিহ্যকে পুনঃপ্রতিষ্ঠিত করার সময় এসেছে। সে ক্ষেত্রে এমন একটি সমাজ গড়ে উঠবে, যেখানে কেউ ইংরেজিতে কথা বলতে লজ্জা পাবেন। পাশাপাশি মন্ত্রীর আশা, ২০৪৭ সালে উন্নত ভারত গড়ে তুলতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেবে আমাদের দেশের আঞ্চলিক ভাষাগুলি।
প্রবীণ বিজেপি নেতার কথায়, “আমাদের দেশ, আমাদের সংস্কৃতি, আমাদের ইতিহাস এবং আমাদের ধর্ম এগুলো বোঝার জন্য কোনও বিদেশী ভাষাই যথেষ্ট নয়। কোন বিদেশী ভাষার মাধ্যমে একটি পূর্ণাঙ্গ ভারতের ধারণা কল্পনা করা যায় না, এই লড়াই কতটা কঠিন তা আমি জানি, তবে আমি সম্পূর্ণ আত্মবিশ্বাসী যে ভারতীয় সমাজ এক্ষেত্রে জয়ী হবে। আবারও, আত্মসম্মানের সাথে, আমরা আমাদের নিজস্ব ভাষায় আমাদের দেশ পরিচালনা করব এবং বিশ্বকেও নেতৃত্ব দেব”।
উল্লেখ্য, তামিলনাড়ু-সহ দক্ষিণ ভারতের বিজেপি-শাসিত রাজ্যগুলি কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে হিন্দি চাপিয়ে দেওয়ার অভিযোগ তুলে সরব হয়েছে। তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী এমকে স্ট্যালিনের অভিযোগ তুলেছেন যে, নয়া শিক্ষানীতি (এনইপি বা নেপ)-র মাধ্যমে হিন্দি ভাষা চাপানোর চেষ্টা করছে কেন্দ্র। এই বিতর্কের মাঝেই স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অবশ্য জানিয়েছিলেন, তাঁর মন্ত্রক ডিসেম্বর মাস থেকে রাজ্যগুলির সঙ্গে আঞ্চলিক ভাষাতেই যোগাযোগ করবে।তারপর তার আজকের এই মন্তব্য সাধারণ মানুষের বলা ভাষার ওপর হস্তক্ষেপের বিষয়টি আরও উসকে দিল।