ঝাড়গ্রামে ট্রেনের ধাক্কায় হাতির মৃত্যু, রেল ভূমিকায় প্রশ্ন বন দপ্তরের
একটি পূর্ণবয়স্ক হাতি এবং দুটি হস্তিশাবক দূরপাল্লার ট্রেনের চাকায় কাটা পড়ে। এই ঘটনায় রেলের ভূমিকায় ক্ষুব্ধ বন দপ্তর।

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি, ১৫:১৫: বৃহস্পতিবার রাতে ঝাড়গ্রাম রেঞ্জে দূরপাল্লার ট্রেনের ধাক্কায় মৃত্যু হয়েছে তিন হাতির। দক্ষিণ-পূর্ব রেলের বাঁশতলা স্টেশন সংলগ্ন রেলগেটের কাছে ট্রেনের চাকায় কাটা পড়ে হাতিগুলি। রাত একটা নাগাদ আটটি হাতির একটি দল রেললাইন পেরিয়ে বাঁশতলার দিক থেকে সিপাইবাঁধের দিকে যাচ্ছিল। একটি পূর্ণবয়স্ক হাতি এবং দুটি হস্তিশাবক দূরপাল্লার ট্রেনের চাকায় কাটা পড়ে। এই ঘটনায় রেলের ভূমিকায় ক্ষুব্ধ বন দপ্তর। খবর পেয়েই ডিএফও এবং বন দপ্তরের অন্য আধিকারিকেরা ঘটনাস্থলে যান। রেলের আধিকারিকেরাও যান। সকালে হাতিগুলির দলা পাকানো দেহ ক্রেনের মাধ্যমে তোলা হয়। সকাল ৬টা নাগাদ ওই লাইনে ট্রেন চলাচল শুরু হয়েছে।

যদিও বনদপ্তরের দাবি, পুরোটাই রেলের অসতর্কতার ফল। রেলকে আগে থেকে জানানো হয়েছিল বাঁশতলা এলাকা দিয়ে হাতির দল যাতায়াত করতে পারে। কিন্তু তা সত্ত্বেও সতর্ক হয়নি রেল। ঝাড়গ্রামের বন আধিকারিক উমর ইমামের দাবি, রাত পৌনে ১১টা নাগাদ রেঞ্জ অফিস থেকে রেলকে সতর্ক করা হয়েছিল। বলা হয়েছিল, ওই এলাকায় একটি হাতির দল রয়েছে। তাই ট্রেনের গতি কমিয়ে বার বার হর্ন দেওয়ার অনুরোধ করা হয়। তদন্ত করে দেখা হচ্ছে বলেও জানিয়েছেন তিনি। ওই সময় কোন কোন ট্রেন গিয়েছে, তার তথ্য রেলের কাছ থেকে চাওয়া হয়েছে। রেলের ডিআরএমকে চিঠি দিয়েছে বন দপ্তর। সবিস্তার তদন্ত চলছে। দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।

প্রসঙ্গত, হাতির দলের বাকি পাঁচটি হাতি আশপাশের এলাকাতেই রয়েছে। হাতিগুলোর যাতে অসুবিধা না-হয়, সেদিকে নজরদারি চালানো হচ্ছে। বন দপ্তরের অভিযোগ, এই প্রথম নয়, এর আগেও যতবার রিভিউ মিটিং হয়েছে, প্রতিবারই রেলকে সতর্ক করা হয়। কিন্তু কার্যকরী পদক্ষেপ করছে না রেল। ট্রেনের ধাক্কায় হাতির মৃত্যুতে ক্ষোভপ্রকাশ করেছেন স্থানীয়রা।