রবিবার পর্যন্ত বজ্রবিদ্যুৎ সহ ঝড়-বৃষ্টির সম্ভাবনা, টর্নেডো-ঝড়-শিলাবৃষ্টিতে তছনছ উত্তর ২৪ পরগনার একাধিক এলাকা

আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর বলেছে, রবিবার পর্যন্ত বিক্ষিপ্তভাবে বজ্রবিদ্যুৎ সহ ঝড়-বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে বঙ্গে।

February 20, 2025 | 2 min read
Published by: Drishti Bhongi

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: আলিপুর আবহাওয়া দপ্তরের পূর্বাভাস ছিল, বুধবারের পর থেকে রাজ্যে বৃষ্টি হবে। কোনও কোনও জেলায় শিলাবৃষ্টির পূর্বাভাসও দেওয়া হয়েছিল। সেই ইঙ্গিত মিলে গেছে। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে আকাশ কালো করে এসেছিল। ১১টার কিছু পরই নামে বৃষ্টি। কলকাতা এবং পার্শ্ববর্তী অঞ্চলে মুষলধারে বৃষ্টিপাত শুরু হয়েছে।

আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর বলেছে, রবিবার পর্যন্ত বিক্ষিপ্তভাবে বজ্রবিদ্যুৎ সহ ঝড়-বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে বঙ্গে। বৃষ্টির সঙ্গে শিলাবৃষ্টিও হবে। সেই আভাস মিলিয়ে কলকাতা, হাওড়া, উত্তর ২৪ পরগনা ও দক্ষিণ ২৪ পরগনায় বৃষ্টি তো শুরু হয়েছেই, বেশ কয়েক জায়গায় পড়ছে শিলও। একটানা বৃষ্টি ও তুষারপাতের সম্ভাবনা দার্জিলিং, কালিম্পং সহ একাধিক পার্বত্য জেলাতেও। এও বলা হয়েছে, বৃষ্টির সম্ভাবনা বেশি থাকবে শনি ও রবিবার।

এদিকে উত্তর ২৪ পরগনার একাধিক এলাকা ঝড়, বৃষ্টি, শিলাবৃষ্টি ও টর্নেডোতে কার্যত তছনছ হয়ে গেল বুধবার। কোথাও বাড়ি। কোথাও গাছ। কোথাও নদীবাঁধ ভেঙে বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে জনজীবন। বুধবার আচমকা প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে মাথায় হাত এই অঞ্চলের বাসিন্দাদের।

বুধবার দুপুরে মাত্র তিন মিনিটের মিনি টর্নেডোর দাপটে গাইঘাটার কয়েকটি গ্রাম লন্ডভন্ড হয়ে যায়। প্রায় ৭০ টির মতো বাড়ি ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। গাইঘাটার শশাডাঙায় বিকেল চারটে নাগাদ স্থানীয় একটি বড় আকারের বাওড় থেকে মিনি টনের্ডোটির উৎপত্তি। প্রসঙ্গত টর্নেডো বা ঝঞ্ঝাবর্ত হল স্তম্ভ আকারের ঝড়। যা স্বল্প সময়ে নিমেষে তছনছ করে দেয় যে কোনও এলাকা। গাইঘাটা এমনিতেই টর্নেডো প্রবণ। এবং এ সময় এই ঝঞ্ঝাবর্তের প্রকোপ দেখা যায়। বুধবারের প্রাকৃতিক বিপর্যয় নিয়েও আবহাওয়া দপ্তরের পূর্বাভাস ছিল। এদিন টর্নেডোর দাপটে বহু গাছ ভেঙে উপড়ে পড়ে। বিদ্যুতের স্তম্ভ ভেঙে যায়। বেশি ক্ষতি হয়েছে রঘুনন্দনপুর, তেঁতুলবেড়িয়া এলাকায়। ঘটনাস্থলে যান ব্লক প্রশাসনের কর্তারা। এক স্থানীয় বাসিন্দা বলেন, ‘বাড়িতেই ছিলাম। হঠাৎ ঝড় এল। সব ভেঙে দিল। গাছ ভেঙে পড়ল বাড়ির উপর।’

এর পাশাপাশি এদিন বিকেলে শিলাবৃষ্টি হয় ঠাকুরনগরে। এর ফলে আমের মুকুল ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ঠাকুরনগর, জামদানি সহ বেশ কয়েকটি এলাকায় এবং বসিরহাটে হয় শিলাবৃষ্টি। সঙ্গে ঝোড়ো হাওয়া। টাকি, বসিরহাট, হিঙ্গলগঞ্জ এলাকায় প্রবল ঝড়বৃষ্টি হয়। এর ফলে অল্পবিস্তর ক্ষয়ক্ষতির মুখে পড়ে বিস্তীর্ণ এলাকা।

তবে সবথেকে বড় ক্ষতি হয়েছে দুলদুলি গ্রাম পঞ্চায়েতের কেদারচক লঞ্চঘাট এলাকায়। এখানে রায়মঙ্গল নদীর উপর থাকা ৪০০ ফুট বাঁধ ধসে নদীগর্ভে চলে গিয়েছে। ব্লক প্রশাসন দ্রুত বাঁধ মেরামতের আশ্বাস দিয়েছে।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

ভিডিও

আরও পড়ুন

Decorative Ring
Maa Ashchen