রান্নাঘরেও বাঁচানো যায় জল
যে ভাবে গোটা বিশ্বে পানীয় জলের জন্য হাহাকার বাড়ছে, তাতে বিশেষজ্ঞদের ধারনা তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ নাকি হবে জলের কারণেই। আমাদের দেশেই রাজস্থানের মতো শুখা রাজ্যে প্রতিদিন এক কলসি জলের জন্য মাইলের পর মাইল হাঁটতে হয়। তাঁদের কথা মনে করেই জলের অপচয় না করার অঙ্গীকার করতে হবে আমাদের।
যে ভাবে গোটা বিশ্বে পানীয় জলের জন্য হাহাকার বাড়ছে, তাতে বিশেষজ্ঞদের ধারনা তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ নাকি হবে জলের কারণেই। আমাদের দেশেই রাজস্থানের মতো শুখা রাজ্যে প্রতিদিন এক কলসি জলের জন্য মাইলের পর মাইল হাঁটতে হয়। তাঁদের কথা মনে করেই জলের অপচয় না করার অঙ্গীকার করতে হবে আমাদের।
বেশীরভাগের বাড়িতেই সবচেয়ে বেশী জল নষ্ট হয় রান্নাঘরে। আমরা অনেক সময় নিজেরাই টের পাই না যে কী ভাবে প্রতিদিন প্রচুর পরিমাণে জল আমরা রান্নাঘরে নষ্ট করছি।
রান্নাঘরে জল বাঁচানোর ৫টি সহজ উপায় এখানে রইল আপনাদের জন্য:

- বেসিনে বাসন ধোওয়ার সময় সাধারণত টানা জলের কল আমরা সবাই খুলে রাখি। এর ফলে প্রচুর পরিমাণে জল নষ্ট হয়। তাই সাবান দিয়ে বাসন ঘসার সময় এবার থেকে কলটা বন্ধ রাখুন। কলের মুখ ভালো করে বন্ধ করুন, যাতে ফোঁটা ফোঁটা জল না পড়ে।
- এক লিটার জল পিউরিফায়ারের ট্যাঙ্কে ভর্তি হতে তিন লিটার জল নষ্ট হয়। এই জল একটা পাত্রে ধরে রাখুন। অন্য কাজে সেই জল ব্যবহার করতে পারেন। যেমন ধরুন, কাপড় কাচার সময় ওয়াশিং মেশিনে এই জল দিন অথবা গাড়ি ধোওয়ার কাজে ব্যবহার করতে পারেন।
- যে জলে শাক-সবজি ধুয়েছেন, সেই জলও একই ভাবে অন্য কাজে ব্যবহার করতে পারেন। ওই জল টবের চারাগাছগুলিতে দিতে পারেন।
- ডিম সেদ্ধ করতে বেশ অনেকটা জলের প্রয়োজন পড়ে। এই জল তারপর ফেলে দেওয়া হয়। তাই ডিম সেদ্ধ করতে ইলেকট্রিক বয়লার ব্যবহার করুন। দেখবেন ইলেকট্রিক বয়লারে ডিম সেদ্ধও হয়ে যাবে তাড়াতাড়ি।
- কাউকে জল খেতে দিলে আমরা গ্লাস ভর্তি করেই দিই। কিন্তু সাধারণত খুব তেষ্টা না পেলে গ্লাসভর্তি জল একবারে আমরা প্রায় কেউই খাই না। তাই ততটুকুই জল নিন, যতটা আপনি খাবেন। প্রয়োজনে অতিথিকে একবার জল দিয়ে আরেকটু লাগবে কিনা, জিজ্ঞেস করুন।