বিজেপি বুঝতে পেরেছে বাংলায় কিছু করতে পারবে না, তাই ভোটার লিস্ট থেকে নাম বাদ দেওয়ার চক্রান্ত শুরু করেছে, অভিযোগ তৃণমূলের

বিহারের ভোট শুধু দেখা যাচ্ছে কিন্তু অন্য টার্গেট হলো বাংলা। বিজেপি অভ্যন্তরীণ রিপোর্টে বুঝতে পেরেছে বাংলায় কোনও কাজ করতে পারবে না।

June 28, 2025 | < 1 min read
Published by: Drishti Bhongi

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি, ২০:৩৪: কেন্দ্রীয় সরকার নিরপেক্ষ সংস্থাগুলির রাজনীতিকরণের চেষ্টা করছে। আর সেই সংস্থাগুলি বিজেপির হয়ে কাজ করছে, শনিবার তৃণমূল ভবন থেকে সাংবাদিক সম্মেলনে অভিযোগ তুললেন রাজ্যের মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য।

নির্বাচন কমিশনের (Election Commission) নির্দেশ নিয়ে দীঘা থেকেই তোপ দেগেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। সেই সূত্র ধরেই এদিন সাংবাদিক বৈঠক থেকে কেন্দ্রকে নিশানা করেন চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য ও তৃণমূলের (TMC) রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ।

গেরুয়া শিবিরকে তীব্র আক্রমণ করে চন্দ্রিমা বলেন, “সব রাজ্যের নির্বাচন একটি রাজনৈতিক দলকে দখল করতে হবে তাই স্বশাসিত যে সংস্থাগুলি আছে সেগুলিকেও ব্যবহার করছে। ১-০৭-৮৭ থেকে ০২-১২-২০০৪-এর মধ্যে যাঁদের জন্ম তাঁদের ভোটার তালিকায় নাম তুলতে গেলে একটা বিশেষ ঘোষণা পত্রে সই করতে হবে এবং তাঁদের বাবা-মায়ের জন্মের সার্টিফিকেট দিতে হবে।“ এর পরেই মন্ত্রী প্রশ্ন তোলেন, “হঠাৎ ৮৭ সাল বাছা হল কেন? যাংরা ওই সময় জন্মেছে তাঁদের বাবা-মায়ের কত বয়স হবে! তাঁরা তাঁদের জন্মের সার্টিফিকেট জোগাড় করবে কি করে? আগে কি এসব ছিল? তাঁদের জন্ম সার্টিফিকেট পাওয়া যাবে না খুব স্বাভাবিক। তাহলে তাঁদের নাম বাদ দেবে। ভোটার লিস্ট থেকে নাম বাদ দেওয়ার চেষ্টা। এটা ঘুরপথে এনআরসির দিকে নিয়ে যাওয়ার চক্রান্ত।“

তৃণমূলের অভিযোগ, নির্বাচনের এত পরিবর্তন হবে বাকি কোনও রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনা হল না, পরামর্শ হল না। বিহারের ভোট শুধু দেখা যাচ্ছে কিন্তু অন্য টার্গেট হলো বাংলা। বিজেপি অভ্যন্তরীণ রিপোর্টে বুঝতে পেরেছে বাংলায় কোনও কাজ করতে পারবে না। তাই এইভাবে উদ্দেশ্য সাধন করতে চাইছে।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

ভিডিও

আরও পড়ুন

Decorative Ring
Maa Ashchen