বালুহীন হাবড়াকে ‘হটস্পট’ ধরে নিয়ে প্রচারের কৌশল ঠিক করেছেন কাকলি

কাকলি ঘোষ দস্তিদার তৃণমূলের প্রতীকে জয়ী হলেও, বিধাননগর, অশোকনগর এবং হাবড়া বিধানসভাতে ভাল ব্যবধান পেয়ে এগিয়েছিল পদ্মশিবির।

April 2, 2024 | 2 min read
Published by: Drishti Bhongi
তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী কাকলি ঘোষ দস্তিদার

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: রেশন দুর্নীতি মামলায় জেলবন্দি রয়েছেন বিধায়ক জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক (Jyotipriya Mallick)। তাই তাঁর বিধানসভা কেন্দ্রে লোকসভা ভোট পরিচালনার জন্য সাত জনের কমিটি গড়ে দিয়েছে তৃণমূল নেতৃত্ব। এই কমিটি গঠন করা হয়েছে স্থানীয় নেতাদের নিয়ে। এই কমিটির চেয়ারম্যান করা হয়েছে, (Habra) পুরসভার চেয়ারম্যান নারায়ণচন্দ্র সাহাকে। আহ্বায়ক হয়েছেন সীতাংশু দাস ও জ্যোতি চক্রবর্তী। এ ছাড়াও কমিটিতে রয়েছেন হাবড়া-১ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি নেহাল আলি, হাবড়া পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান নীলিমেশ দাস, অজিত সাহা, তপতী দত্ত। ২০১৯ সালের নির্বাচনে বারাসাত লোকসভা কেন্দ্রের তিনটি বিধানসভায় ভাল ব্যবধানে এগিয়েছিলেন বিজেপি প্রার্থী। কাকলি ঘোষ দস্তিদার তৃণমূলের প্রতীকে জয়ী হলেও, বিধাননগর, অশোকনগর এবং হাবড়া বিধানসভাতে ভাল ব্যবধান পেয়ে এগিয়েছিল পদ্মশিবির। হাবড়াতে প্রায় ১৯ হাজার ভোটে এগিয়েছিলেন বিজেপি (BJP) প্রার্থী।

তাই এই বিধানসভাকে কার্যত ‘হটস্পট’ ধরে নিয়ে প্রায় প্রতিদিন এলাকায় গিয়ে প্রচার করছেন তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী কাকলি ঘোষ দস্তিদার (Kakoli Ghosh Dastidar)। বালুহীন হাবড়ায় নিবিড় জনসংযোগকেই এবার বাড়তি গুরুত্ব দিচ্ছেন তিনি। সোমবার হাবড়ার শিব মন্দির ও দুর্গা মন্দিরে পুজো দেওয়ার পর ব্যবসায়ীদের অভাব-অভিযোগ ও দাবিদাওয়া শুনলেন তিনি।

কাকলি ঘোষ দস্তিদারের সাথে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের দূরত্ব সর্বজনবিদিত। আর বর্তমানে তিনি না থাকায় কার্যত হাবড়া বিধানসভা চষে বেড়াচ্ছেন কাকলি। সারছেন জনসংযোগও। দলের বিভিন্নস্তরের নেতৃত্বদের নিয়ে প্রায় প্রতিদিনই বৈঠক করছেন কাকলি। সোমবার হাবড়ার শিব বাড়ি ও দুর্গা মন্দিরে পুজো দিয়ে প্রচার শুরু করেন তৃণমূল প্রার্থী। পরে শহরের ব্যবসায়ী সমিতির সদস্যদের নিয়ে বৈঠকে বসেন।

দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন ব্যবসায়ীদের পক্ষ থেকে একাধিক দাবি-দাওয়া রাখা হয়। অন্যতম হল হাবড়া হাসপাতালে আইসিইউ, ব্লাড ব্যাঙ্ক সহ চিকিৎসা পরিষেবার উন্নতি। তৃণমূলের (TMC) এক নেতা বলেন, কাকলি ঘোষ দস্তিদার বারাসতে পরপর তিনবারের সাংসদ। কিন্তু হাবড়ার জন্য এমন তৎপরতা তাঁর আগে ছিল না। কারণ, এখানে ভোট করাতেন বিধায়ক। কিন্তু বর্তমানে পরিস্থিতির বদল হওয়ায় বুথ থেকে ব্লক বা অঞ্চলস্তরের সংগঠন নতুন করে ঝালিয়ে নিচ্ছেন তিনি। প্রতিটি এলাকাভিত্তিক বৈঠক ও কর্মিসভা করার কথাও জানিয়েছেন। কাকলি ঘোষ দস্তিদার বলেন, হাবড়া আমাদের দলের শক্তঘাঁটি। তাই ভোটকে সামনে রেখে এদিন ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বৈঠক হল।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

ভিডিও

আরও পড়ুন

Decorative Ring
Maa Ashchen