চা বাগানই আলিপুরদুয়ারে তৃণমূলের নির্বাচনী অস্ত্র

তৃণমূল নেতৃত্ব চা বাগানে ভোট প্রচারের বিষয়টি এখনই চূড়ান্তভাবে খোলসা করতে চাইছে না।

February 10, 2021 | 2 min read
Published by: Drishti Bhongi

চা বাগান(Tea garden) দিয়েই আলিপুরদুয়ারে (Alipurduar)ভোটের প্রচারে নামতে চলেছে তৃণমূল কংগ্রেস(TMC)। সেইমতো তৈরি হচ্ছে রণকৌশল। চা বাগানে তৃণমূলের ভোটের প্রচারের এই রণকৌশল প্রায় চূড়ান্ত হওয়ার পথে। এক্ষেত্রে দলের ভোটের প্রচারে প্রাধান্য দেওয়া হচ্ছে চা বাগানের আদিবাসী নেতাদেরই। চা বলয়ে পুরোদমে তৃণমূলের এই ভোটপ্রচার শুরু হচ্ছে ১২ ফেব্রুয়ারি থেকে। তবে তৃণমূল নেতৃত্ব চা বাগানে ভোট প্রচারের বিষয়টি এখনই চূড়ান্তভাবে খোলসা করতে চাইছে না। কারণ হিসেবে তৃণমূল নেতৃত্ব জানিয়েছে, চা বলয়ে দলের এই ভোট প্রচারের রণকৌশল ও কর্মসূচিতে সামান্য রদবদল হতে পারে।
এবার ভোটে আদিবাসী চা শ্রমিকদের যে বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছে তৃণমূল, তার প্রমাণ মেলে চা শ্রমিকদের কল্যাণে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঢালাও উন্নয়ন প্রকল্প থেকে। রাজ্যে দলের এসটি সেলে ২৬ জন সদস্যের মধ্যে ন’জনই আলিপুরদুয়ার জেলার। এবার চা বাগানে ভোট প্রচারে একেবারে সামনের সারিতে এগিয়ে দেওয়া হবে দলের চা বাগানের আদিবাসী নেতাদেরই। তাঁদের মনিটরিং করতে দলের জেলা ও শহরের নেতারা পিছনে থাকবেন। প্রচার নিয়ে তৃণমূলের দলীয় নেতৃত্ব আগাম একটি সমীক্ষাও চালিয়েছে। তৃণমূলের সূত্র জানিয়েছে, ওই সমীক্ষা অনুসারে আদিবাসী নেতারা চা বাগানে ভোটের প্রচার করবেন নিজেদের ভাষাতেই। যাতে আদিবাসী শ্রমিকরা নিজেদের ভাষা থেকে দলের প্রচারের উদ্দেশ্য ও লক্ষ্য সহজেই বুঝতে পারেন। চা বাগানে যেমন চা শ্রমিকরা বসবাস করেন, তেমনই বাগানের শ্রমিক নয় এমন মানুষও চা বাগানের জমিতে বসবাস করেন। সমীক্ষায় উঠে এসেছে চা বাগানগুলিতে ৮৫ শতাংশ বাসিন্দাই আদিবাসী সম্প্রদায়ের। বাগানগুলিতে ৭৫ হাজার বাড়ি আছে। সমস্ত বাড়িতেই ভোটের প্রচারে যাবে দল। আগামী এক মাস ধরে ধারাবাহিকভাবে বাগানগুলিতে তৃণমূলের এই প্রচার চলবে। আলিপুরদুয়ারে ৬৭টি চা বাগান রয়েছে। তারমধ্যে কালচিনিতে ২৪,  মাদারিহাটে ২১ ও কুমারগ্রাম বিধানসভায় ১২টি রয়েছে। বাকি ১০টি বাগান রয়েছে আলিপুরদুয়ার ও ফালাকাটায়। এই ৬৭টি চা বাগানের ৭৫ হাজার বাড়িতে যাবেন দলের আদিবাসী নেতারা। প্রচারের সময় তাঁরা বাগানগুলিতেই রাত কাটাবেন। 
কী তুলে ধরা হবে চা বাগানের ভোটের প্রচারে? তৃণমূল নেতৃত্ব এবিষয়ে মুখ না খুললেও দলীয় সূত্র জানিয়েছে, প্রচারে চারটি বিষয় তুলে ধরা হবে। তার মধ্যে আছে চা সুন্দরী প্রকল্প যা আর কোনও রাজ্যে নেই। অসমে যেখানে শ্রমিকদের মজুরি ১৪২ টাকা, সেখানে রাজ্যের শ্রমিকদের মজুরি ২০২ টাকা করা হয়েছে। 
অসমের চা শ্রমিকদের মজুরির সঙ্গে বাংলার চা শ্রমিকদের মজুরির এই তফাৎ প্রচারে তুলে ধরা হবে। সেইসঙ্গে রাজ্য সরকারের বন্ধ বাগান খোলার উদ্যোগের পাশাপাশি শ্রমিকদের বছরভর নিঃশুল্ক রেশন ও নিয়মিত ফাউলাইয়ের টাকা পাওয়ার বিষয়টিও তুলে ধরা হবে। তবে প্রচারে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হবে বীর বীরসা মুণ্ডার জন্মদিনে ও করম পুজোয় সরকারি ছুটির ঘোষণাটিকে। এই দু’টি বিষয় আদিবাসীদের কাছে খুবই আবেগের জায়গা। কুমারগ্রাম, কালচিনি ও মাদারিহাটে হয়েছিল বিশ্ব আদিবাসী দিবস। প্রচারে এই বিষয়টিও তুলে ধরা হবে।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

ভিডিও

আরও পড়ুন

Decorative Ring
Maa Ashchen