পিছিয়ে থাকা বুথগুলিকে ‘টার্গেট’ করে ভোটের ময়দানে ঝাঁপাচ্ছে জোড়াফুল শিবির

১৩ নভেম্বর রাজ্যের যে ছয়টি বিধানসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচন হবে তার মধ্যে অন্যতম হাড়োয়া।

November 11, 2024 | 2 min read
Published by: Drishti Bhongi
উপনির্বাচনেও বাজিমাত করতে অনেক অঙ্ক কষেই প্রার্থী দিতে চাইছে তৃণমূল

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: ১৩ নভেম্বর রাজ্যের যে ছয়টি বিধানসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচন হবে তার মধ্যে অন্যতম হাড়োয়া। গত লোকসভা ভোটে এই কেন্দ্রের সিংহভাগ বুথে জয়ী হয়েছিল তৃণমূল। যে ক’টি বুথে শাসকদল পিছিয়ে ছিল, সেগুলিকে এবার ‘টার্গেট’ করে ভোটের ময়দানে ঝাঁপাচ্ছে জোড়াফুল শিবির। সেই মতো তৈরি হয়েছে ‘ব্লু-প্রিন্ট’। সব মিলিয়ে ৩৪টি বুথে বিজেপি লিড নিয়েছিল হাড়োয়ায়। এই সব বুথে খামতি কোথায় ছিল, তা চিহ্নিত করে ভোটারদের মন জয় করতে মরিয়া শাসকদল।

হাড়োয়া বিধানসভা কেন্দ্রে মোট বুথের সংখ্যা ২৭৯টি। এর মধ্যে গত লোকসভা ভোটে ২৪৫টি বুথে জয় পায় তৃণমূল। ১৩টি পঞ্চায়েতের মধ্যে দেগঙ্গা ১, গোপালপুর ১ ও খাসবালান্দা পঞ্চায়েত এলাকার কয়েকটি বুথে বিজেপি এগিয়েছিল। তবে মোটের উপর সব পঞ্চায়েতে এগিয়ে ছিল তৃণমূল। এবার তৃণমূলের লক্ষ্য, পিছিয়ে থাকা ওই ৩৪টি বুথকে নিজেদের দখলে আনা। একারণে বাড়ি বাড়ি প্রচারে যাচ্ছেন স্থানীয় নেতৃত্ব। পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম, খাদ্যমন্ত্রী রথীন ঘোষ, দমকলমন্ত্রী সুজিত বসু, জেলা পরিষদের সভাধিপতি নারায়ণ গোস্বামী, সাংসদ পার্থ ভৌমিকরা দফায় দফায় সভা করেছেন।

তৃণমূল প্রার্থী শেখ রবিউল ইসলাম বলেন, এলাকায় প্রচারে গেলে স্থানীয় বাসিন্দারা আমাকে দু’হাত ভরে আশীর্বাদ করছেন। যেখানে আমরা পিছিয়ে ছিলাম, সেখানে প্রচারে জোর দেওয়া হয়েছে। দাদপুর পঞ্চায়েতের উপপ্রধান আব্দুল হাই বলেন, ‘মানুষ উন্নয়নের সঙ্গে থাকবেন। আর বাংলায় উন্নয়ন মানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাই বিরোধীরা লজ্জায় সেই অর্থে প্রচার নামছেন না’। হাড়োয়ায় আইএসএফ, বিজেপি ও কংগ্রেসের প্রচারে সেভাবে ঝাঁঝ নেই। হাতেগোনা কয়েকজন কর্মী নিয়ে প্রচার সেরেছেন বিজেপি প্রার্থী বিমল দাস। সেই অর্থে বড় কোনও জনসভা বা রোড শো করতে দেখা যায়নি পদ্মপার্টির নেতাদের। তাদের দাবি, ভোট এবার হবে নিঃশব্দে।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

ভিডিও

আরও পড়ুন

Decorative Ring
Maa Ashchen