বিরোধী রাজ্যগুলিতে রাজ্যের সরকারগুলিকে ফেলে দেওয়া ও গণতন্ত্রকে নষ্ট করার চেষ্টা চলছে, কেন গর্জে উঠলেন অভিষেক?
রাজ্যের অধিকার খর্ব করার উদ্দেশ্য নিয়ে আবার একটি ‘স্বৈরাচারী বিল’ আনতে চলেছে কেন্দ্রের বিজেপি সরকার, অভিযোগে সরব হয়েছে বিরোধীরা।

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি, ১৩:০০: রাজ্যের অধিকার খর্ব করার উদ্দেশ্য নিয়ে আবার একটি ‘স্বৈরাচারী বিল’ আনতে চলেছে কেন্দ্রের বিজেপি সরকার, অভিযোগে সরব হয়েছে বিরোধীরা। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বুধবার লোকসভায় তিনটি বিল পেশ করতে চলেছেন, যার মাধ্যমে গুরুতর অপরাধে গ্রেপ্তার হলে মন্ত্রী থেকে শুরু করে মুখ্যমন্ত্রী, প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে অপসারণ হতে পারে। বুধবার লোকসভায় এই বিল পেশের আগেই চড়া সুরে তোপ দাগল তৃণমূল কংগ্রেস। সমাজ মাধ্যমে গর্জে উঠলেন তৃণমূল কংগ্রেসের (TMC) সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)।
এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee) লেখেন, ‘কথায় কথায় পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীর (PoJK) পুনরুদ্ধারের দাবি করলেও বাস্তবে সরকারের কোনও সাহস নেই। সারা দেশের সমর্থন এবং বিরোধী শিবিরের সহযোগিতা থাকা সত্ত্বেও সরকার কেবল ফাঁকা বুলি আওড়াচ্ছে। দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষা, সীমান্ত সুরক্ষা কিংবা শত্রুপক্ষের বিরুদ্ধে দৃঢ় পদক্ষেপ, কোনও ক্ষেত্রেই কার্যকর উদ্যোগ নিচ্ছে না।’
বিজেপি সরকারকে কৃষক-বিরোধী ও জন-বিরোধী বলে উল্লেখ করেছেন ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ। তাঁর কথায়, বিজেপিকে একটা ভোট দেওয়ার অর্থ দেশকে বিক্রি করে দেওয়া। তাঁর মতে, বিজেপি দেশের সংবিধানকে নিজেদের সম্পত্তি হিসেবে ব্যবহার করতে চাইছে।
পোস্টে অভিষেক আরও লিখেছেন, ‘সাংবিধানিক দায়িত্ব পালন করার বদলে কেন্দ্রের সরকার শুধুই ক্ষমতা আর সম্পদে আগ্রহী। আমরা এই কঠোর সংবিধান সংশোধনী বিলে আপত্তি জানাচ্ছি। কৃষক কিংবা দরিদ্র মানুষের জন্য কাজ না করে সরকার সরকার এই বিল আনছে।’ সোশাল মিডিয়ায় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের আরও দাবি, এসআইআর বাস্তবায়নে নির্বাচন কমিশনকে অপব্যবহারের প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে। এবার বিরোধীদের বিরুদ্ধে কাজে লাগানোর জন্য ইডি-কে ব্যবহার করার চেষ্টা করছে বিজেপি। এই বিল পেশ করে রাজ্যের সরকারগুলিকে ফেলে দেওয়া ও গণতন্ত্রকে নষ্ট করার চেষ্টা চলছে বলেও মন্তব্য করেছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক।
শুধু অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় নয়, এই ইস্যুতে তৃণমূল সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েন, মহুয়া মৈত্রও সোশাল মিডিয়ায় গর্জে উঠেছেন।
বিল অনুযায়ী, যদি প্রধানমন্ত্রী, মুখ্যমন্ত্রী বা মন্ত্রীরা পাঁচ বছর বা তার বেশি কারাদণ্ডযোগ্য কোনও অপরাধে অভিযুক্ত হয়ে ৩০ দিন টানা হেফাজতে থাকেন, তবে ৩১তম দিনে তাঁকে পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হবে। এ ক্ষেত্রে রাষ্ট্রপতি প্রধানমন্ত্রী বা কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে, গভর্নর রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে এবং লেফটেন্যান্ট গভর্নর কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের মুখ্যমন্ত্রীকে পদচ্যুত করার ক্ষমতা রাখবেন।