GST সঞ্চয় উৎসব না কি লুট উৎসব? মোদীকে কটাক্ষ অভিষেকের

সোমবার ডায়মন্ড হারবার পুলিশ জেলার গাইড ম্যাপ উদ্বোধনের সময় সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে অভিষেক বলেন, “বিজেপি হারলে ট্যাক্স কমে, জিতলে বাড়ে-এটা দিনের আলোর মতো পরিষ্কার।” তিনি কটাক্ষ করে বলেন, “বিজেপির ৬০ আসন কমেছে তাই জিএসটি ২৮ থেকে ১৮ হয়েছে। যদি বিজেপি ২০০-তে নামে, তাহলে হয়তো ৯ শতাংশ হবে। আর হেরে গেলে জিএসটি শূন্য!”
অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় আরও বলেন, “নোটবন্দি, এনআরসি, কৃষি বিল-সবই ব্যর্থ। নোটবন্দির জন্য ১৪০ জনের মৃত্যু, কৃষি বিলের কারণে ৭৫০ কৃষকের আত্মহত্যা-এই দায় কে নেবে?” তাঁর মতে, “দায়বদ্ধতা ছাড়াই এরা ক্ষমতায় এসেছে, মানুষ সব বোঝে।”
বিজেপি ‘Next Gen GST’ নামে দেশজুড়ে প্রচারাভিযান শুরু করেছে। রাজ্য বিজেপি সভাপতি শমীক ভট্টাচার্য বলেন, “প্রধানমন্ত্রী দুর্গাপুজোয় বড় উপহার দিয়েছেন। বেশিরভাগ পণ্যের দাম কমেছে, মানুষ স্বস্তি পেয়েছেন।” তবে অভিষেকের মতে, এই পরিবর্তন রাজনৈতিক চাপে, জনস্বার্থে নয়।
অভিষেকের মতে, “২০১৭ থেকে ৮ বছর ধরে দেশে জিএসটি লুট উৎসব চলেছে। এখন চাপে পড়ে ছাড় দেওয়া হচ্ছে।” তিনি আরও বলেন, “হিরেতে জিএসটি নেই, অথচ জিরে, হাতা, পেন-সবেতেই জিএসটি! এটা সাধারণ মানুষের সঙ্গে অন্যায়।”
বাংলার অর্থনৈতিক অধিকার প্রসঙ্গে অভিষেক প্রশ্ন তোলেন, “বাংলা থেকে কত টাকা নিয়েছেন, আর ফিরিয়েছেন কত?” তিনি অভিযোগ করেন, ১০০ দিনের কাজের টাকা হাইকোর্ট নির্দেশ সত্ত্বেও কেন্দ্র দেয়নি। তাঁর মতে, “প্রধানমন্ত্রী চান না, বাংলার গরিবরা পুজোয় জামা কিনতে পারেন।”
ইডি ও সিবিআই প্রসঙ্গে অভিষেক বলেন, “বিজেপিতে গেলে ধোওয়া তুলসী পাতা, বিরোধী দলে থাকলেই এজেন্সি ছাড়া হয়।” তাঁর সংযোজন, “ওদের কাছে দুটো ‘ই’ -এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট আর ইনকাম ট্যাক্স। আমাদের কাছে এম-কিউ – মা, মাটি, মানুষ।”
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও কেন্দ্রকে নিশানা করে বলেন, “জিএসটি লাগু করে কেন্দ্র গরিব মানুষের সর্বনাশ করেছিল, আর রাজ্যগুলো থেকে টাকা তুলেছিল। অথচ এখন কৃতিত্ব নিতে আসছে!”