অসন্তোষ মেটানোই চ্যালেঞ্জ, নিঃশব্দে কাজ মহুয়ার

নদিয়া জেলার দক্ষিণ অংশের পর এবার উত্তর অংশের বিধানসভাগুলি নিয়ে কর্মী সম্মেলন করবেন তিনি। মঙ্গলবার থেকে শুরু হচ্ছে তাঁর এই কর্মসূচি।

January 19, 2021 | 2 min read
Published by: Drishti Bhongi

পাখির চোখ বিধানসভা নির্বাচন। বুথ আরও শক্তিশালী করতে মাটি কামড়ে পড়ে তৃণমূলের (TMC ) নদিয়া জেলার সভানেত্রী তথা সাংসদ মহুয়া মৈত্র (Mahua Moitra)। রাজ্য জুড়ে যখন একাধিক হেভিওয়েট নেতানেত্রীরা ‘বেসুরো’, সেখানে নিঃশব্দে বুথ মজবুত করার কাজ করে চলেছেন তিনি।

নদিয়া জেলার দক্ষিণ অংশের পর এবার উত্তর অংশের বিধানসভাগুলি নিয়ে কর্মী সম্মেলন করবেন তিনি। মঙ্গলবার থেকে শুরু হচ্ছে তাঁর এই কর্মসূচি। বুথ কর্মীদের স্পষ্ট করে বুঝিয়ে দেওয়া হবে কী করণীয়। ডিসেম্বর মাসে জেলার দক্ষিণ অংশ অর্থাৎ কল্যাণী, হরিণঘাটা, চাকদহ, রানাঘাট উত্তর পূর্ব, রানাঘাট দক্ষিণ, রানাঘাট উত্তর পশ্চিম, শান্তিপুরের দিকে কর্মী সভা শেষ করেছেন তিনি। দলীয় সূত্রে খবর, ১৯ জানুয়ারি থেকে ২৩ জানুয়ারি পর্যন্ত জেলার উত্তর অংশের বিধানসভাগুলি নিয়ে বসবেন জেলা সভানেত্রী। বুথ কর্মী, বুথ সভাপতিদের নিয়ে বৈঠক সারবেন মহুয়া। BJP- কে রোখার টোটকা বাতলে দেবেন।

নদিয়া বিধানসভা আসন ১৭টি। গত লোকসভা ভোটে মাত্র ৬টি আসনে এগিয়ে ছিল তৃণমূল। গেরুয়া ঝড়ে রানাঘাট লোকসভা আসন তৃণমূলের হাত ছাড়া হলেও কৃষ্ণনগর লোকসভা আসনটি ধরে রেখেছিল তারা। এই লোকসভার অন্তর্গত বিধানসভাগুলি নিয়ে মঙ্গলবার থেকে কর্মীসভা করবেন মহুয়া। দলীয় সূত্রে খবর, সাংগঠনিক অবস্থা এদিকে কিছুটা ভালো হলেও ফাঁকফোকর দ্রুত মিটিয়ে ফেলা প্রয়োজন। সেই কাজেই নামছেন মহুয়া। তেহট্ট, করিমপুর, পলাশীপাড়া , কালীগঞ্জ, নাকাশিপাড়া, চাপড়া, কৃষ্ণনগর দক্ষিণের সমস্ত অঞ্চলের কর্মীদের নিয়ে বৈঠক করবেন তিনি। সেই মতো সকলকে জানানোও হয়েছে।

এ ব্যাপারে এই সময় ডিজিটালকে মহুয়া মৈত্র বলেন, বুথ আমার কাছে সব কিছু। বুথ থেকেই ভোট হয়। সেজন্য বুথ গোছানোর উপরেই বাড়তি জোর দেওয়া হচ্ছে। জেলার উত্তর অংশে বুথ কমিটি অনেকটাই গোছানো। প্রতিটি বিধানসভার অ়ঞ্চল সভাপতি, বুথ সভাপতি, বাছাই করা দশজন বুথ কর্মীদের নিয়ে বৈঠক করা হবে। সকলকে আরও একটু চাঙ্গা করাই মূল উদ্দেশ্য।

প্রসঙ্গত, লোকসভা ভোটে বিপর্যয়ের পর তৃণমূলের জেলা সভাপতির পদ থেকে গৌরীশঙ্কর দত্তকে সরিয়ে দেওয়া হয়।নদিয়া দুটি সাংগঠনিক জেলায় ভাগ করা হয়। সেই সময় রানাঘাটের দায়িত্ব পেয়েছিলেন শঙ্কর সিংহ আর কৃষ্ণনগরের দায়িত্ব দেওয়া হয় মহুয়াকে। কয়েক মাস আগে আবার দুই জেলাকে মিলিয়ে সভাপতি করা হয় মহুয়াকে। রাজনৈতিক মহলের মতে, এবারের কাজটা বেশ কঠিন। গোষ্ঠী কোন্দল মেটাতে ভালোই বেগ পেতে হচ্ছে তাঁকে। জেলা, ব্লক স্তরের কমিটি নিয়েও অসন্তোষ আছে। যদিও মহুয়া এসব বিশেষ পাত্তা দিতে রাজি নন। বরাবরই বুথ আগলে রাখাই প্রধান স্ট্রাটেজি তাঁর। আর ‘দলের সম্পদ’ বুথ কর্মীদের সবচেয়ে বেশি প্রাধান্য দেন তিনি।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

ভিডিও

আরও পড়ুন

Decorative Ring
Maa Ashchen