মেয়ো রোডে মঞ্চ ভাঙার প্রতিবাদ ডোরিনা ক্রসিংসে, BJP-কে সরাসরি আক্রমণ তৃণমূলের
সেনাবাহিনীর এই পদক্ষেপকে ‘নক্কারজনক’ বলে আখ্যা দিয়ে মঙ্গলবার ডোরিনা ক্রসিংসে নতুন মঞ্চ গড়ে প্রতিবাদে নামল তৃণমূল।

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি, ২২:৩২: ধর্মতলায় গান্ধী মূর্তির পাদদেশে তৃণমূল কংগ্রেসের ভাষা আন্দোলনের মঞ্চ ভেঙে দেওয়ার ঘটনায় রাজ্য রাজনীতিতে নতুন বিতর্কের সূচনা হয়েছে। সেনাবাহিনীর এই পদক্ষেপকে ‘নক্কারজনক’ বলে আখ্যা দিয়ে মঙ্গলবার ডোরিনা ক্রসিংসে নতুন মঞ্চ গড়ে প্রতিবাদে নামল তৃণমূল। উপস্থিত ছিলেন ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়, মদন মিত্র-সহ একাধিক নেতা ও কর্মী।
ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “গান্ধী মূর্তির পাদদেশে ভাষা আন্দোলনের মঞ্চ ভেঙে দেওয়া নজিরবিহীন ও নিন্দনীয়। সেনার এই পদক্ষেপ বিজেপির প্ররোচনায় হয়েছে।” তাঁর অভিযোগ, এটি রাজনৈতিক প্রতিহিংসার অংশ।
নতুন মঞ্চ থেকেই বিজেপিকে তীব্র আক্রমণ শানায় তৃণমূল নেতৃত্ব। মদন মিত্র জাতীয় সংগীত পরিবেশন করে বলেন, “এই লড়াই শুধু রাজনৈতিক নয়, এটি বাংলার মর্যাদার লড়াই।” নেতারা জানান, বাংলার ভাষা ও সংস্কৃতি রক্ষায় কোনও আপস হবে না।
ঘটনার দিন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরাসরি ঘটনাস্থলে পৌঁছে সেনার ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। তিনি বলেন, “আমি সেনার বিরুদ্ধে নই, আমরা আমাদের সেনাকে সম্মান করি। কিন্তু যখন সেনাকে বিজেপির নির্দেশে কাজ করতে হয়, তখন প্রশ্ন ওঠে – দেশটা কোথায় যাচ্ছে?” তিনি আরও জানান, “আমরা অনুমতি নিয়েছিলাম, রাস্তা বন্ধ ছিল না। চাইলে পুলিশকে জানিয়ে নিজেরাই মঞ্চ সরিয়ে দিতাম। কিন্তু গান্ধীর মূর্তির পাদদেশে প্রতিবাদের জায়গাটিকেই ভেঙে দেওয়া হয়েছে।”
মমতা অভিযোগ করেন, “প্রায় ২০০ সেনা আমাকে দেখে পালাচ্ছিল। আমি বললাম- আপনারা কেন পালাচ্ছেন? এটা আপনাদের দোষ নয়, আপনাদের বিজেপির নির্দেশে কাজ করতে হয়েছে। আমি সেনাকে নয়, বিজেপিকেই দায়ী করছি।”