“আমার থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে আজ সিপিএমও রাস্তায় শুয়ে পড়েছে”, কেন বললেন দেবাংশু?
বাংলার শিল্প আসার সম্ভাবনার সাড়ে সর্বনাশ করে দিয়ে আজ বিরোধী হয়েছে সিপিএম।

“আমার থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে আজ সিপিএমও রাস্তায় শুয়ে পড়েছে”, বাংলা বনধ প্রসঙ্গে বাম শিবিরকে এভাবেই কটাক্ষ করলেন তৃণমূল কংগ্রেসের যুব নেতা দেবাংশু ভট্টাচার্য। সোমবার ফেসবুকে ওই পোস্ট দেন যিনি। যা এই মুহূর্তে ভাইরাল।
আসলে অতীতে দলত্যাগীদের তৃণমূল আর কিছুতেই ফেরাবে না এমন দাবি করেছিলেন দেবাংশু। তিনি বলেছিলেন, “যাঁরা ভোটের আগে তৃণমূলের সঙ্গ ছেড়ে গিয়েছিলেন, তাঁরা যদি আবার ফেরত আসতে চান তাহলে আমি কিছুতেই তা হতে দেব না। কালীঘাটের দরজায় শুয়ে আটকাব।”
কিন্তু, তারপরেও মুকুল রায়, রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়দের ঘর ওয়াপসি হয়েছে তণমূলে। এরপরেই বাম শিবির বারবার দেবাংশুকে এই বিষয়টি নিয়ে কটাক্ষ করতে শুরু করে। সেই থেকেই এ নিয়ে নানা ধরণের মিম ভাইরাল।
এমনকী বাম শিবিরের বেশ কিছু নেতা বিষয়টি নিয়ে এখনও তৃণমূল নেতাকে আক্রমণ করেন। এবার মজার ছলেই পালটা কটাক্ষ করলেন তিনি। সোমবার এ প্রসঙ্গে দেবাংশু বলেন, “আমার কালীঘাটের দরজায় শুয়ে পড়া নিয়ে বাম শিবির আমাকে ট্রোল করত। আজ দেখতে পাচ্ছি বাম নেতা-নেত্রীরাই রাস্তাঘাটে শুয়ে পড়ছেন। আমার মনে হয় বিষয়টি আমার থেকেই অনুপ্রাণিত। তবে ফারাক একটাই। আমি শুয়ে পড়লেও আমার পার্টি কিন্তু দাঁড়িয়ে আছে। আর ওদের পার্টি নেতা-নেত্রীদের সঙ্গেই ভূলুণ্ঠিত হয়েছে। সিপিএম সেই যে ঘুমিয়েছে, জল ছিঁটিয়েও ঘুম ভাঙানো যাচ্ছে না।”
তাঁর সংযোজন, “যাদবপুর আর তাহেরপুরেই একটু বনধ হয়েছে। আসলে কথায় কথায় বনধ ডাকাটা এদের অভ্যাস। বুদ্ধবাবু নিজেই বলেছিলেন, ‘আমি লজ্জিত যে আমি এমন এক সরকারের মুখ্যমন্ত্রী যাঁরা বনধ ডাকেন।’ উনি নিজে এ কথা বলেছিলেন।
বাংলার শিল্প আসার সম্ভাবনার সাড়ে সর্বনাশ করে দিয়ে আজ বিরোধী হয়েছে সিপিএম। এখন সেই আসনে বসেও বনধের পর বনধ ডাকছে। কাহাতক এগুলো সহ্য করা যায়! কোভিডের সময় সাধারণ মানুষ এমনিতেই কর্মহীন হয়ে পড়েছে। অনেকের আয় কমেছে। এখন কথায় কথায় বনধ ডাকলে, ট্রেন-বাস অবরোধ করলে তো সাধারণ মানুষের সমস্যা হবে। এটা তো মাথায় রাখতে হবে।”