কলকাতার সেরা মিষ্টির দোকান কোনগুলো? হদিশ দিল দৃষ্টিভঙ্গি

রসগোল্লা, সন্দেশ থেকে আজকের বেকড রসগোল্লা, ফিউশন মিষ্টি কোনওটাই বাদ যায় না। শহরের সেরা মিষ্টির দোকান কোনগুলো?

November 4, 2024 | 2 min read
Published by: Drishti Bhongi

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: বাঙালির যতই সুগার হোক, মিষ্টির সঙ্গে তার প্রেম অটুট থাকবেই। সোজা ব্যাটে ব্লাড সুগারকে বাপি বাড়ি যা করে সে ঝাঁপিয়ে পড়বে মিষ্টির উপর। রসগোল্লা, সন্দেশ থেকে আজকের বেকড রসগোল্লা, ফিউশন মিষ্টি কোনওটাই বাদ যায় না। শহরের সেরা মিষ্টির দোকান কোনগুলো? সেখানে গিয়ে কী চেখে দেখবেন?

১) ভীম চন্দ্র নাগ: ১৮২৬ সালে পরাণচন্দ্র নাগ প্রতিষ্টা করেন এই মিষ্টির দোকান। ভীম চন্দ্র নাগের হাত ধরে দোকানটি খ্যাতির শীর্ষে পৌঁছয়। গভর্নর চার্লস ক্যানিংয়ের স্ত্রী লেডি ক্যানিংয়ের নামে একটি মিষ্টি তৈরি করে ফেলেন ভীম চন্দ্র নাগ, নাম ‘লেডি কেনি’। বউবাজারের এ দোকানে গেলে খেতে হবে আইসক্রিম সন্দেশ, রোজ ক্রিম সন্দেশ, পেস্তা আবার খাবো সন্দেশ ও আমদই।

২) কে সি দাস: এই প্রতিষ্ঠান মিষ্টির জগতে বিপ্লব ঘটিয়েছে। কে সি দাসে গেলে অবশ্যই ট্রাই করুন নানান ফিউশন রসগোল্লা, ব্ল্যাক কারেন্ট রসগোল্লা, অমৃতকুম্ভ।

৩) বলরাম মল্লিক ও রাধারমণ মল্লিক: পদ্মপুকুর রোড, ভবানীপুর ছাড়াও কসবা, নিউ আলিপুর, প্রিন্স আনওয়ার শাহ রোড, পার্ক স্ট্রিট এবং বালিগঞ্জেও এদের শাখা রয়েছে। ১৮৮৫ সাল বলরাম মল্লিক এবং রাধারমণ মল্লিকের পথ চলা শুরু। গন্ধরাজ সন্দেশ, রাবড়ি, ছানার পায়েস খেতে ভুলবেন না।

৪) সেন মহাশয়: মনোহরা, দরবেশ ও নানা স্বাদের সন্দেশ খেতে সেন মহাশয়ে চলে যেতে পারেন। শতাব্দী প্রাচীন এই দোকানের আউটলেট রয়েছে উত্তর ও দক্ষিণ কলকাতায়।

৫) গিরিশ চন্দ্র দে অ্যান্ড নকুড় চন্দ্র নন্দী: রামদুলাল সরকার স্ট্রিট, হেদুয়াতেই একমাত্র এদের পাবেন। ১৮৪৪ সালে পথ চলা শুরু। এখানকার নলেন গুড়ের সন্দেশ, সৌরভ সন্দেশ, চকোলেট সন্দেশের মধ্যে চকো তুফান, চকোলেট মালাই রোলের জুড়িমেলা ভার। জলভরা ‘মাস্ট ট্রাই’ আইটেম।

৬) নবকৃষ্ণ গুঁই: নির্মল চন্দ্র স্ট্রিটের এই মিষ্টির দোকান কলকাতা শহরের ইতিহাসের সঙ্গে জড়িয়ে গিয়েছে। এদের রোজ ক্রিম সন্দেশ এবং চন্দন ক্ষীরের মতো মিষ্টির স্বাদ ভোলার মতো নয়। নেহেরুভোগ, রাম বোঁদে বিখ্যাত।

৭) নলিন চন্দ্র দাস অ্যান্ড সন্স: নতুন বাজারের সম্রাট নলিন চন্দ্র দাস অ্যান্ড সন্স। এছাড়াও এদের রাসবিহারি, হেদুয়া, নিউ টাউন এবং ইকো পার্কের বাংলা মিষ্টি হাবে শাখা রয়েছে। এদের বাটার স্কচ জলভরা সন্দেশের জনপ্রিয়তা আকাশ ছোঁয়া।

৮) চিত্তরঞ্জন মিষ্টান্ন ভাণ্ডার: ১৯০৭ সালে হীরালাল ঘোষের হাত ধরে চিত্তরঞ্জন মিষ্টান্ন ভাণ্ডারের পথ চলা শুরু হয়। ৩৪ বি, শোভাবাজার স্ট্রিটের চিত্তরঞ্জনের রসগোল্লার চাহিদা এখনও গগনচুম্বী। চেখে দেখবেন রসগোল্লা, মধুপর্ক, রসোমালাই ও রাজভোগ।

৯) গাঙ্গুরাম: বিবিগাঙ্গুলী স্ট্রিট ছাড়াও মানিকতলা, লালবাজার, পার্ক স্ট্রিট, দমদম, গোলপার্ক ইত্যাদি বিভিন্ন জায়গায় শাখা রয়েছে এদের। প্রায় দেড়শো বছরের পুরনো এই মিষ্টির দোকান আজও জনপ্রিয়তার শিখরে। গাঙ্গুরামের ইন্দ্রাণী, রসমালাই, ক্ষীরের চপ, প্রাণহরা, প্যারাডাইস, দিলখুশ, ক্ষীর চমচম, আবার খাব, লাইট ডিলাইট, আম সন্দেশ বিখ্যাত।

১০) বাঞ্ছারাম: ১৯৭৬ সালে একটা ছোট্ট দোকান থেকে শুরু। তারপর আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয় বাঞ্ছারাম ঘোষকে। এদের বেকড মিষ্টি, পুলি পিঠে এবং মিহিদানার জনপ্রিয়তা কম নয়। বাঞ্ছারামের ভ্যানিলা বা স্ট্রবেরি সন্দেশ চেখে না দেখলেই নয়।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

ভিডিও

আরও পড়ুন

Decorative Ring
Maa Ashchen