এ কোন দার্জিলিং! গরমে থেকে বাঁচতে পাহাড়ের মানুষজন ছুটছেন পাখা, এসি কিনতে!

দক্ষিণবঙ্গের প্যাচপ্যাচে গরম থেকে বাঁচতে যে পর্যটকেরা দার্জিলিঙে ‘পালিয়ে’ এসেছিলেন, এখন তাঁদের গলাতেই শোনা যাচ্ছে আক্ষেপের সুর

September 24, 2024 | < 1 min read
Published by: Drishti Bhongi

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: চড়া রোদ, সোয়েটার মাফলার দূর অস্ত, গায়ে সাধারণ জামা রাখতেও যেন অস্বস্তি হচ্ছে। সমতলের মতো না গরম না হলেও চেনা দার্জিলিংয়ের শান্তি কোথায়? সেপ্টেম্বরে দার্জিলিং ও পাহাড়ের গড় তাপ তাপমাত্রা থাকে ১৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা ছাপিয়ে এ যাবৎকালের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করে গত কয়েকদিনে তাপমাত্রা দাঁড়িয়েছে ২৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা অস্বাভাবিক তো বটেই, যাঁরা সমতল ছেড়ে দু’দণ্ড শান্তি ও আরামের খোঁজে গিয়েছিলেন তাঁরা হতাশ।

দক্ষিণবঙ্গের প্যাচপ্যাচে গরম থেকে বাঁচতে যে পর্যটকেরা দার্জিলিঙে ‘পালিয়ে’ এসেছিলেন, এখন তাঁদের গলাতেই শোনা যাচ্ছে আক্ষেপের সুর। তাঁদের বক্তব্য, বেলা গড়াতেই দার্জিলিং শহরজুড়ে এমন গরমের দাপট শুরু হচ্ছে যে হোটেলের ঘর ছেড়ে বেরোতেই ইচ্ছা করছে না! অনুযোগের একই সুর শোনা যাচ্ছে স্থানীয় বাসিন্দাদের গলাতেও।

পাহাড়ের যে মানুষজন ছোট থেকে সিলিং ফ্যান ছাড়াই বড় হয়েছেন, সেপ্টেম্বরের শেষে তাঁরাও দোকানে ছুটছেন পাখা, এসি কিনতে! এমন ঘটনা আগে না ঘটলেও বর্তমানে যা ঘটছে, তাতে অবশ্য সবাই খুব একটা অবাক হচ্ছেন না। ওয়াকিবহাল মহল বলছে, যে হারে বিশ্বজুড়ে উষ্ণায়নের দাপট বাড়ছে, তাতে সর্বত্রই গরম বাড়ছে। দার্জিলিং শহরও তার ব্যতিক্রম নয়।

স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন, সময় যত গড়িয়েছে, দার্জিলিঙে পাহাড় কেটে বাড়ি, হোটেল বানানোর ধুম বেড়েছে। এতে শুধু পাহাড়ের ক্ষতি হয়নি, সবুজও ধ্বংস হয়েছে। আজ তারই খেসারত দিতে হচ্ছে বলে মত দার্জিলিংবাসীর।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

ভিডিও

আরও পড়ুন

Decorative Ring
Maa Ashchen