শীত পড়তেই নবাবী ইতিহাস ছুঁয়ে দেখতে পর্যটকদের ঢল নামল মুর্শিদাবাদে
জেলার দর্শনীয় স্থানগুলিতে দেশ-বিদেশের পর্যটকদের ভিড় এবার উপচে পড়বে। জেলার পর্যটন শিল্প আর্থিকভাবে চাঙ্গা হবে।

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: শীত মানেই বেড়ানোর মরশুম। শীতের দাপট কিঞ্চিৎ বাড়তেই নবাবনগরী মুর্শিদাবাদে ভিড় বাড়াচ্ছেন ভ্রমণপ্রেমীরা। নবাবী আমলের স্থাপত্য নিদর্শনগুলিতে পর্যটকদের ভিড় বাড়তে শুরু করেছে। শীতের মরশুমে রোজগারের আশায় রয়েছে হোটেল ব্যবসায়ী থেকে পর্যটনের সঙ্গে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে যুক্ত বিভিন্ন পেশার মানুষ। তাঁদের আশা, জেলার দর্শনীয় স্থানগুলিতে দেশ-বিদেশের পর্যটকদের ভিড় এবার উপচে পড়বে। জেলার পর্যটন শিল্প আর্থিকভাবে চাঙ্গা হবে।
রাজ্য তথা দেশের অন্যতম পর্যটন শহর মুর্শিদাবাদ। মুর্শিদাবাদ শহরে রয়েছে হাজারদুয়ারি, ইমামবারা, কাটরা মসজিদ, কাঠগোলাপ বাগান ও প্রাসাদ-সহ একাধিক স্থাপত্য নিদর্শন। স্থাপত্য নিদর্শনগুলি ঘুরে দেখতে সারা বছর ধরে দেশ-বিদেশের পর্যটকরা আসেন। পুজো এবং শীতে পর্যটকদের সংখ্যা বেশি থাকে। নভেম্বর মাস থেকে পর্যটকদের আনাগোনা শুরু হয়েছে। পর্যটন ব্যবসায়ীদের দাবি, ২৫ ডিসেম্বর থেকে ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত সময়টা মুর্শিদাবাদের পর্যটনের ভরা মরশুম। বড়দিন, ইংরেজি নববর্ষ-সহ ছুটির দিনগুলিতে নবাবের খাস তালুকে পর্যটকদের সংখ্যা ২৫-৩০ হাজার পেরিয়ে যায়।
এবার শীতের আমেজ শুরু হতেই পর্যটকদের সংখ্যা বাড়তে শুরু করেছে। টাঙ্গা চালক থেকে গাইড, হোটেল মালিক সকলের রোজগারও ভালো হচ্ছে। হোটেল ব্যবসায়ীরা বলছেন, নভেম্বরের শেষ সপ্তাহ থেকে শীতের মরশুমের জন্য ঘর বুকিং শুরু হয়েছে। জানুয়ারি জুড়ে প্রায় সব ঘর বুক হয়ে গিয়েছে। শীত পড়তেই প্রায় প্রতিদিন বিদেশি পর্যটকরা ঘুরতে আসছেন। ইতিমধ্যেই বেশ কয়েকটি বিদেশি পর্যটকদের দল মুর্শিদাবাদ ঘুরে গিয়েছে। আরও পর্যটকদের ঢল নামবে বলে আশা পর্যটন শিল্পের সঙ্গে যুক্ত মানুষদের।