দুর্ঘটনাপ্রবণ এলাকায় ‘ট্রমা কেয়ার’ পরিষেবা চালুর উদ্যোগ রাজ্যের, মানুষের পাশে থাকবে ‘পথবন্ধু’

সপ্তাহের সাতদিন রাতদিন-ঘড়ির কাঁটার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে খুব শীঘ্রই এই কাজ শুরু হবে।

February 28, 2022 | 2 min read
Published by: Drishti Bhongi

পথদুর্ঘটনায় মৃত্যু। দেরিতে চিকিৎসার অভিযোগে এলাকায় ক্ষোভ। অথবা পথদুর্ঘটনায় মৃত্যু ঘিরে ধুন্ধুমার। এমন দৃশ্য মুছে দিতে নয়া উদ্যোগ রাজ্য সরকারের। স্বরাষ্ট্র ও স্বাস্থ্য দপ্তর যৌথভাবে রাজ্য গঠন করেছে ‘পথবন্ধু আধিকারিক।’ লক্ষ্য আহতকে দ্রুত হাসপাতালে ভরতি করে চিকিৎসা করা। জাতীয় ও রাজ্য সড়কের দুর্ঘটনাপ্রবণ এলাকার কাছে থাকা হাসপাতালে ট্রমাকেয়ার সেন্টার (Trauma Care Centre) করাও লক্ষ্য।

সপ্তাহের সাতদিন রাতদিন-ঘড়ির কাঁটার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে খুব শীঘ্রই এই কাজ শুরু হবে। উদ্দেশ্য দুর্ঘটনার পর দ্রুত আহত ব্যক্তির চিকিৎসা শুরু। প্রয়োজনে পুলিশের সাহায্যে গ্রিন করিডর করে গুরুতর আহতকে বড় হাসপাতাল বা মেডিক্যাল কলেজের ট্রমাকেয়ার সেন্টারে পাঠিয়ে চিকিৎসা করে সুস্থ করা। ‘পথবন্ধু’ পদ এবং কাজের ধরন নিয়ে গত সপ্তাহে স্বাস্থ্যভবন বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে। অতিরিক্ত ডেপুটি ডিরেক্টর পদমর্যাদার এক আধিকারিককে ইতিমধ্যেই নিয়োগ করা হয়েছে। স্বাস্থ্যভবনের কর্তাদের মধ্যে এ বিষয়ে কয়েক দফা আলোচনা হয়েছে। এবার নবান্নের সবুজ সংকেতের অপেক্ষা।

রাজ্য স্বাস্থ্য অধিকর্তা ডা. অজয় চক্রবর্তীর কথায়, “পথ দুর্ঘটনা কমানো এবং দুর্ঘটনার পরে দ্রুত অ্যাম্বুল্যান্স পাঠিয়ে আহতকে কাছের হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য পাঠানোর জন্য পুলিশ ও স্বাস্থ্যভবনের আধিকারিকরা একসঙ্গে কাজ করবেন। দুই দপ্তরের আধিকারিকরা নিয়মিত আলোচনা করে গোটা বিষয়টি এক সুতোয় গাঁথবেন।” সূত্রের খবর, সমন্বয় রাখতে জেলা পুলিশ ও স্বাস্থ্য কর্তাদের নিয়ে হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ তৈরির কথা হচ্ছে। স্বরাষ্ট্র দপ্তর সূত্রে খবর, জাতীয় ও রাজ্য সড়কে দুর্ঘটনাপ্রবণ এলাকা (ব্ল্যাক স্পট) সমীক্ষা হয়েছিল। সেই সমীক্ষাকে সামনে রেখেই দুই দপ্তর কাজ শুরু করছে। গোটা পদ্ধতির রূপরেখা তৈরিতে রাজ্যভিত্তিক যেমন নোডাল অফিসার নিয়োগ করা হয়েছে তেমনই প্রতিটি জেলায় ‘পথবন্ধু পদ’ সৃষ্টি করে দায়িত্ব দেওয়া হবে।

কী করবেন সংশ্লিষ্ট আধিকারিকরা? উত্তরে এক স্বাস্থ্য কর্তা জানিয়েছেন, “জাতীয় বা রাজ্য সড়কের উপর দিয়ে যাওয়া গাড়িটির স্বাস্থ্য পরীক্ষা হবে। এরজন্য অত্যাধুনিক যন্ত্র ও সাজসরঞ্জাম আনা হয়েছে।” এটা যেমন একটা দিক তেমনই চালকদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হবে। প্রয়োজনে গাড়ি থামিয়ে ড্রাইভিং টেস্ট হবে। অর্থাৎ দুর্ঘটনা কমাতে প্রয়োজনীয় সব পদক্ষেপ নেওয়া হবে। ওই আধিকারিকের কথায়, ‘সেফ ড্রাইভ সেভ লাইফ’ দারুণ ফলপ্রসূ হয়েছে। কিন্তু জাতীয় সড়কে দুর্ঘটনা তুলনামূলকভাবে বেশি। বিশেষ করে ভিন রাজ্যের ট্রাক, মালবাহি লরি বেশিরভাগ সময় নিয়ন্ত্রণের তোয়াক্কা না করে ওভারটেক করে। ফল হয় মারাত্মক। এমন ঘটনাকে অবিলম্বে নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। জেলা হাসপাতাল বা মেডিক্যাল কলেজে যেমন ট্রমাকেয়ার সেন্টার থাকছে তেমনই জাতীয় বা রাজ্য সড়কের পাশের সিসিটিভি ফুটেজ অনুযায়ী আরও হাসপাতালে ট্রমা কেয়ার সেন্টার তৈরি করা হবে। দরকারে সংখ্যা বাড়ানো হবে। এছাড়াও জেলা পুলিশ-পরিবহণ ও স্বাস্থ্য দপ্তর একযোগে সমাজ মাধ্যমে প্রচার চালাবে।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

ভিডিও

আরও পড়ুন

Decorative Ring
Maa Ashchen