চন্দ্রকেতুগড় – বাংলার হরপ্পা?

কলকাতার উত্তর পূর্বে ৩৫ কিলোমিটার দূরে বিদ্যাধরী নদীর ধারে এক প্রত্নতাত্ত্বিক স্থান হল চন্দ্রকেতুগড়। এই স্থানটি আবিষ্কার করেন ডঃ তারকনাথ ঘোষ ১৯০৫ সালে। তিনি ঐতিহাসিক এ এইচ লংহার্স্টকে চিঠি লেখেন এই নিয়ে। ১৯০৯ সালে ডঃ রাখালদাস বন্দ্যোপাধ্যায় এখানে যান।

March 13, 2020 | 2 min read
Published by: Drishti Bhongi

কলকাতার উত্তর পূর্বে ৩৫ কিলোমিটার দূরে বিদ্যাধরী নদীর ধারে এক প্রত্নতাত্ত্বিক স্থান হল চন্দ্রকেতুগড়। এই স্থানটি আবিষ্কার করেন ডঃ তারকনাথ ঘোষ ১৯০৫ সালে। তিনি ঐতিহাসিক এ এইচ লংহার্স্টকে চিঠি লেখেন এই নিয়ে। ১৯০৯ সালে ডঃ রাখালদাস বন্দ্যোপাধ্যায় এখানে যান।

এক দশক পরে তৎকালীন প্রত্নতাত্ত্বিক বিভাগের প্রধান কে এন দিক্ষিত একটি রিপোর্ট পেশ করে। ১৯৫৫ থেকে ১৯৬৭ এখানে খনন করে যা মেলে, তাতে মনে করা হয় এটি পাল সাম্রাজ্যের একটি ধ্বংসাবশেষ। ২০০০ সালে পশ্চিমবঙ্গ হেরিটেজ কমিশন পুনরায় খনন শুরু করে। এই স্থানকে হেরিটেজ ঘোষণা করা হয়। ইউনেস্কো শংসাপত্র দেয় এই স্থাপত্য ২৫০০ বছর আগের।

দর্শনীয়ঃ

এখানকার মুখ্য আকর্ষণ জ্যোতির্বিদ খনা ও মিহিরের নামে মন্দির ও রাজা চন্দ্রকেতুর দুর্গ। এগুলিকে বলা হয় খনামিহিরের ঢিপি। এই মন্দির খ্রিষ্টপূর্ব ৪র্থ থেকে ১২ শতকের মধ্যে।

এছাড়া এখানে আছে বৌদ্ধ স্তুপা। পাল যুগের বিভিন্ন ভাস্কর, গুপ্ত ও কৃষ্ণ যুগের মুদ্রা, বিভিন্ন রুটি, টেরাকোটার সিলমোহর, ইট আছে যাতে জাতকের গল্প পাওয়া যায়।

সম্প্রতি সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বেড়া চাপায় পথের সাথী মোটেলে এই সংগ্রহশালা করা হবে।

অন্যান্য দর্শনীয়ঃ

এখানে পীর গোরাচাঁদের তৈরী অসম্পূর্ণ মসজিদ পাওয়া যায়। ঐতিহাসিকরা বলেছেন এই মসজিদ ১৩০০ বছর আগে একটি বৌদ্ধ স্তুপের ওপর তৈরী। পীর গোরাচাঁদের নামে একটি দরগাও আছে হারোয়া বাস স্ট্যান্ডের কাছে। যাওয়া জাত লাল মসজিদ এবং বিদ্যাধরী সেতুতে।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

ভিডিও

আরও পড়ুন

Decorative Ring
Maa Ashchen