বিসর্জনে অভিনবত্ব নিয়ে এল ত্রিধারা সম্মিলনী পুজো কমিটি

কলকাতা পুরসভার প্রাক্তন মেয়র পারিষদ দেবাশিস কুমার এই পুজোর অন্যতম কর্তা।

October 26, 2020 | < 1 min read
Published by: Drishti Bhongi

চিরাচরিত শোভাযাত্রা করে গঙ্গায় প্রতিমা বিসর্জনের পথে না হেঁটে মণ্ডপের সামনেই কৃত্রিম জলাধারে প্রতিমা বিসর্জন দেওয়া হবে এখানে।
দক্ষিণ কলকাতার এই বারোয়ারি পুজোর এ বছর ৭৪তম বর্ষ। পুজোর থিম ‘কোভিড যোদ্ধা’। কলকাতা পুরসভার প্রাক্তন মেয়র পারিষদ দেবাশিস কুমার এই পুজোর অন্যতম কর্তা। সোমবার ত্রিধারার পুজোর অন্যতম আয়োজক লাল্টু মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘অনেক ভাবনা চিন্তা করেই আমরা চিরাচরিত প্রতিমা নিরঞ্জনের পথে গেলাম না।’’ তাঁর ব্যাখ্যা, ‘‘প্রতিমা নিরঞ্জন যতই সাদামাটা ভাবে সারা হোক না কেন, তাতেও অনেক লোকের প্রয়োজন হয়। গঙ্গায় বিসর্জনের জন্য ছোট হলেও একটা শোভাযাত্রা যাবে। প্রতিমা লরিতে তোলা এবং নামানোর জন্য শ্রমিকরা থাকবেন। আর শত চেষ্টা করলেও সব ক্ষেত্রে পর্যাপ্ত দূরত্ব মেনে চলা যাবে না।’’

এই দূরত্ববিধি মানতেই মণ্ডপের সামনে ২০ ফুট লম্বা এবং সমান প্রস্থের একটি চৌবাচ্চা তৈরি করা হয়েছে। সেখানেই হবে প্রতিমা নিরঞ্জন। তার পর ‘ওয়াটার জেট’ দিয়ে প্রতিমার মাটি গলিয়ে কাঠামো তুলে ফেলা হবে। লাল্টু বলেন, ‘‘শুধু কোভিড নয়, এর ফলে গঙ্গা দূষণও এড়ানো যাবে।’’ কলকাতায় এই রকম উদ্যোগ আগে কখনও হয়েছে বলে মনে করতে পারছেন না পুজো উদ্যোক্তাদের অনেকেই। এই পদ্ধতি সাফল্য পেলে পরের বছর থেকে এ ভাবেই বিসর্জন পর্ব সারতে চান তাঁরা।

ত্রিধারার এই উদ্যোগের মতোই কোভিড সংক্রমণ রুখতে মণ্ডপ দর্শকশূন্য রাখার সাহসী সিদ্ধান্ত নিয়েছিল সন্তোষ মিত্র স্কোয়ারের পুজো কমিটি। কলকাতা হাইকোর্ট ‘দর্শকশূন্য’ মণ্ডপের নির্দেশ দেওয়ার অনেক আগেই ওই পুজো উদ্যোক্তারা ঘোষণা করেছিলেন, তাঁরা এ বছর মণ্ডপে দর্শকদের ঢোকার অনুমতি দেবেন না।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

ভিডিও

আরও পড়ুন

Decorative Ring
Maa Ashchen