উপনির্বাচনের প্রচার জোরকদমে ঘাসফুল শিবিরের, প্রার্থী ঠিক করতে হিমশিম খাচ্ছে বিজেপি
কবে প্রার্থী ঘোষণা হতে পারে, তাও জানেন না গেরুয়া শিবিরের স্থানীয় নেতারা। তাই প্রচারও নেই, দেওয়াল লিখন নেই, হোর্ডিংও নেই।
Authored By:

গত ২৮ সেপ্টেম্বর উপনির্বাচন ঘোষণা হতেই খড়দহে প্রচার শুরু করে দিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। মাঠে নেমেও পড়েছেন তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী তথা কৃষিমন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। এমনকী, বামফ্রন্টের তরফেও প্রার্থী ঘোষণা হয়েছে। কিন্তু, খড়দহে এখনও প্রার্থীই ঠিক করতে পারল না বিজেপি। কবে প্রার্থী ঘোষণা হতে পারে, তাও জানেন না গেরুয়া শিবিরের স্থানীয় নেতারা। তাই প্রচারও নেই, দেওয়াল লিখন নেই, হোর্ডিংও নেই। তৃণমূল কংগ্রেসের দাবি, খড়দহের মানুষ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়নের সঙ্গে রয়েছেন। উপনির্বাচনে শোভনদেববাবুকে তারা রেকর্ড মার্জিনে জয়ী করবেন। গত বিধানসভা নির্বাচনে খড়দহে কাজল সিনহাকে প্রার্থী করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। করোনায় আক্রান্ত হয়ে গত ২৫ এপ্রিল তাঁর মৃত্যু হয়।
ফলাফলও দেখে যেতে পারেননি তিনি। অথচ, বিজেপি প্রার্থীকে হারিয়ে তিনি ২৮ হাজার ১৪০টি ভোটে জয়ী হয়েছিলেন! মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভবানীপুর থেকে প্রার্থী হওয়ার পরই শোভনদেববাবুকে খড়দহের উপনির্বাচনে প্রার্থী করার পরিকল্পনা করেন। গত জুন মাস থেকে সকলেই জানতেন শোভনদেববাবুই খড়দহের প্রার্থী হচ্ছেন। শোভনদেববাবুও নানা কর্মসূচি শুরু করে দিয়েছিলেন। ২৮ তারিখ নির্বাচন ঘোষণা হতেই শোভনদেববাবুর সমর্থনে খড়দহজুড়ে হোর্ডিং ও ফ্লেক্স টাঙানো হয়। গত ২ অক্টোবর রহড়া বাজারে তাঁর কেন্দ্রীয় নির্বাচনী কার্যালয়েরও উদ্বোধন করা হয়। অন্যদিকে, গত বিধানসভা নির্বাচনে খড়দহে যিনি সিপিএম প্রার্থী হয়েছিলেন, সেই দেবজ্যোতি দাসকেই ফের প্রার্থী করেছে বামেরা। তাঁর সমর্থনেও রবিবার দেওয়াল লিখন শুরু হয়েছে। কিন্তু, বিজেপির দেখা নেই।
তৃণমূল কংগ্রেসের বারাকপুর দমদম সাংগঠনিক জেলার চেয়ারম্যান নির্মল ঘোষ বলেন, শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় মুখ্যমন্ত্রীর জন্য নিজের আসন ছেড়ে দিয়েছেন। খড়দহ থেকে তিনি এবার রেকর্ড মার্জিনে জিতবেন। বাংলার মানুষ বিজেপিকে প্রত্যাখান করেছে। অপরদিকে, প্রার্থী প্রসঙ্গে বিজেপির সর্ব ভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, আমাদের দলের রেওয়াজ নীতি অনুযায়ী সঠিক সময়েই প্রার্থী ঘোষণা হবে। সম্ভাব্য নাম নিয়ে একদফা আলোচনা হয়েছে। জেলার তরফে কিছু নাম আসবে। রাজ্য সেগুলি দিল্লির কাছে পাঠাবে। দিল্লির সংসদীয় কমিটির বৈঠকে নাম চূড়ান্ত হবে। সেখান থেকেই প্রার্থী ঘোষণা হবে।