সারি ও সরনা ধর্মের স্বীকৃতির দাবিতে সংসদে সরব তৃণমূল

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি, ২০:০০: রাজ্যের আদিবাসী ভোটব্যাঙ্ককে সুসংহত করতে ফের সক্রিয় হল রাজ্যের শাসকদল। বৃহস্পতিবার রাজ্যসভায় সারি ও সরনা ধর্মকে সরকারি স্বীকৃতি দেওয়ার দাবিতে সরব হলেন তৃণমূল সাংসদ সামিরুল ইসলাম (Samirul Islam)। এই ইস্যুতে কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদী সরকারের (Modi Govt) বিরুদ্ধে উদাসীনতার অভিযোগ তুলে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন তিনি।
এদিন রাজ্যসভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে সামিরুল ইসলাম বলেন, ‘‘এই আদি ধর্ম বা প্রকৃতিপূজাকে কেন্দ্র করেই আদিবাসী সমাজের গভীর সাংস্কৃতিক পরিচয় গড়ে উঠেছে। সাঁওতাল, ভূমিজ, মুন্ডা, কোড়া, লোধা, শবর, ওরাঁও, বিড়হোর, মেচা, রাভা, লোহারা, মহালি ও চিক বরাইক-সহ একাধিক জনজাতি সম্প্রদায়ের মানুষ প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে এই ধর্মীয় আচার-অনুশীলন পালন করে আসছেন।’’ তিনি আরও উল্লেখ করেন যে, পশ্চিমবঙ্গের কুর্মি জনসংখ্যারও একটি বড় অংশ সারি-সরনা ধর্মে বিশ্বাসী। লক্ষ লক্ষ মানুষের ভাবাবেগ ও বিশ্বাস জড়িত থাকা সত্ত্বেও কেন্দ্রীয় সরকার এখনও এই ধর্মকে স্বীকৃতি দিচ্ছে না বলে অভিযোগ করেন তিনি।
কেন্দ্রের বিরুদ্ধে তোপ দেগে সাংসদ মনে করিয়ে দেন, ‘‘দিল্লির সরকারকে মনে করিয়ে দিতে চাই- ভারতের সংবিধান প্রত্যেক নাগরিককে নিজের ধর্ম পালন করার মৌলিক অধিকার দিয়েছে। সেই অধিকার রক্ষা করাই সরকারের দায়িত্ব।’’
বিষয়টি যে রাজ্য সরকার আগেই গুরুত্বের সঙ্গে দেখেছে, তা স্মরণ করিয়ে দিয়ে সামিরুল জানান, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) উদ্যোগে ২০২৩ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভায় সারি ও সরনা ধর্মকে স্বীকৃতি দিয়ে সর্বসম্মতিক্রমে একটি প্রস্তাব পাশ করা হয়েছিল। সেই প্রস্তাব ২৭ ফেব্রুয়ারি কেন্দ্রের কাছে পাঠানো হলেও, গত তিন বছরেও দিল্লির সরকার এ নিয়ে কোনও পদক্ষেপ করেনি।