ত্রিপুরায় বিজেপির ‘সন্ত্রাস’-র প্রতিবাদে তৃণমূলের প্রতিনিধি দলের বিমানবন্দরে ধরনা, পুলিশি বাধার অভিযোগ

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি, ১৩.৫০: ত্রিপুরায় পৌঁছেই পুলিশি বাধার মুখে তৃণমূল কংগ্রেসের (TMC) প্রতিনিধি দল। বৃহস্পতিবার সকালে আগরতলা বিমানবন্দরে নামার পরই তাঁদের বাধা দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। দলের তরফে জানানো হয়েছে, বিমানবন্দর চত্বরেই তাঁদের আটকে দেওয়া হয়, এমনকি অটো বা প্রিপেড ট্যাক্সি বুক করার সুযোগও দেওয়া হয়নি।
আইনশৃঙ্খলার অবনতির অজুহাতে তাঁদের বাইরে যেতে বাধা দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন তৃণমূল নেতারা। এই ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করে বিমানবন্দর চত্বরে বসেই প্রতিবাদে ধরনায় বসেন দলের প্রতিনিধিরা। উপস্থিত ছিলেন কুণাল ঘোষ, সায়নী ঘোষ, প্রতিমা মণ্ডল, সুদীপ রাহা, সুস্মিতা দেব এবং বীরবাহা হাঁসদা।
ত্রিপুরা সফরের আগে কলকাতা বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ বলেন, “দক্ষিণী সিনেমার মতো অ্যাকশন। পুলিশের সামনেই ভাঙচুর করা হয়েছে পার্টি অফিসে।” বিজেপির বিরুদ্ধে সুর চড়িয়ে তিনি আরও বলেন, “এই হামলার পরিণতি দেশের মানুষ দেখছে।”
তৃণমূল সাংসদ সায়নী ঘোষও রাজ্যের প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। তাঁর কটাক্ষ, “পুলিশ কি শুধুই দর্শক হয়ে থাকবে? রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা কোথায়?” তিনি জানান, প্রতিনিধি দল এদিন ক্ষতিগ্রস্ত কর্মীদের পাশে দাঁড়াবে এবং প্রশাসনের কাছে বিষয়টি তুলে ধরবে।
দলের তরফে আরও অভিযোগ তোলা হয় যে, “বিজেপি চায় গণতন্ত্রকে স্তব্ধ করে দিতে। একদিকে ‘গণতন্ত্র বাঁচাও’ বলে শ্লোগান দেয়, আর অন্যদিকে গণতন্ত্রের ভিত নষ্ট করে।” তৃণমূলের স্পষ্ট বক্তব্য- “তৃণমূলের কর্মীদের ভয় দেখিয়ে দমানো যাবে না। বিজেপি পার্টি অফিস জ্বালাতে পারে, পোস্টার ছিঁড়তে পারে, কিন্তু আমাদের প্রতিরোধের মনোভাব মুছে ফেলতে পারবে না।”
তৃণমূলের তরফে দাবি করা হয়েছে, বিজেপি পরিচালিত রাজ্য সরকার রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের কণ্ঠরোধ করতে প্রশাসনকে ব্যবহার করছে। তাঁরা বলেন, “গেরুয়া সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে আওয়াজ তুলতেই আমরা এসেছি, আর তাতেই বাধা দেওয়া হচ্ছে।” তৃণমূল নেতারা জানিয়েছেন, তাঁরা শান্তিপূর্ণভাবে তাঁদের কর্মসূচি চালিয়ে যাবেন এবং গণতান্ত্রিক অধিকারের পক্ষে লড়াই চালিয়ে যাবেন।
