না-জানিয়ে লোকসভায় আসন বণ্টন! সোমবার মোদী সরকারের স্বেচ্ছাচারিতার বিরুদ্ধে ঝড় তুলবে তৃণমূল

লোকসভায় আসন বণ্টনে স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ উঠল দেশের শাসক দলের বিরুদ্ধে। সংসদীয় দলনেতাকে না জানিয়ে ইচ্ছেমতো আসন বরাদ্দ করা হল তৃণমূল-সহ অন্যান্য বিরোধী দলকে।

December 1, 2024 | 2 min read
Published by: Drishti Bhongi

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: লোকসভায় আসন বণ্টনে স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ উঠল দেশের শাসক দলের বিরুদ্ধে। সংসদীয় দলনেতাকে না জানিয়ে ইচ্ছেমতো আসন বরাদ্দ করা হল তৃণমূল-সহ অন্যান্য বিরোধী দলকে। তৃণমূলের লোকসভার দলনেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের পিছনের আসনে দলের কোনও সাংসদকে জায়গা দেওয়া হয়নি। এতেই ক্ষুব্ধ তৃণমূল। জানা গিয়েছে, আগামী সোমবার সংসদে স্বেচ্ছাচারিতার প্রতিবাদে সরব হবে তৃণমূল।

অধিবেশন চালু হলেও এতদিন পর্যন্ত নয়া লোকসভা গঠিত হওয়ার পরও সাংসদের আসন নির্দিষ্ট করা হয়নি। প্রত্যেক দলের সংসদীয় দলনেতাদের কাছে বরাদ্দকৃত আসন সম্পর্কে জানতে জানতে চাওয়া হয়েছিল। জুনে তৃণমূলের সংসদীয় দলনেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে চিঠি এসেছিল। জুলাই মাসে আসন তালিকা-সহ তার উত্তর দেন সুদীপ। অভিযোগ, সেই মতো আসন না-সাজিয়ে নিজেদের পছন্দ মতো তৃণমূল সাংসদদের আসন বরাদ্দ করা হয়েছে। এতে বিজেপি সাংসদদের ব্লকে দুই মন্ত্রীর পিছনে জায়গা পেয়েছেন দুই তৃণমূল সাংসদ। সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের সারিতে ও পিছনে দলের কোনও সাংসদকে রাখা হয়নি।

সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় এক জনপ্রিয় বাংলা দৈনিককে জানান, তৃণমূল সাংসদদের বসার যে জায়গা দেওয়া হয়েছে তা অদ্ভুতভাবে সাজানো হয়েছে। প্রথম সারিতে সুদীপের পাশে অখিলেশ যাদবকে জায়গা দেওয়া হয়েছে। আশেপাশে বা পিছনে তৃণমূলের কোনও সাংসদ নেই। পরের ব্লকে সরকার পক্ষের দুই মন্ত্রী বসেছেন তাঁদের পিছনে রয়েছেন দু’জন তৃণমূল সাংসদ। তিনি জানান, তিনি যে তালিকা দিয়েছিলেন সেখানে দ্বিতীয় সারিতে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ও মুখ্য সচেতক কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম ছিল। সুদীপের অভিযোগ, সংসদ চলার সময় পাশে যদি মুখ্য সচেতককে না পাওয়া যায়, অন্যান্য সাংসদদের না পাওয়া তাহলে তাঁদের নির্দেশ দেওয়া হবে কীভাবে ও লোকসভা চালানো হবে কী করে?
সোমবার অধিবেশন শুরু হলে তীব্র প্রতিবাদ জানাবেন বলেও জানিয়েছেন সুদীপ।

শুধু তৃণমূলের সঙ্গে নয়, কংগ্রেসের সঙ্গেও একই ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ। এভাবে আসন বণ্টনের পিছনে শাসকদলের ষড়যন্ত্রেরও অভিযোগ উঠছে। বিরোধী দলের সাংসদরা যাতে একজোট হয়ে শাসকদলের বিরুদ্ধে সরব হতে না-পারে তাই আলাদা জায়গায় বসিয়ে বিরোধী কণ্ঠরোধ করতেই কি এই পরিকল্পনা? এমনই অভিযোগ উঠতে শুরু করেছে।

এই অর্থে স্পিকারকে চিঠি দিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

ভিডিও

আরও পড়ুন

Decorative Ring
Maa Ashchen