অচলায়তন ভাঙা দম্পতি রিয়া-রাখিকে সংবর্ধনা তৃণমূলের, কুর্নিশ জানালেন অভিষেক
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি, ১৪:২০: সমাজের ছক ভেঙে সাত পাকে বাঁধা পড়েছেন দক্ষিণ ২৪ পরগনার রামেশ্বরপুর গাববেড়িয়ার রিয়া ও রাখি। সেই দম্পতিকে কুর্নিশ জানাল তৃণমূল। দুই বঙ্গতনয়াকে ‘কুর্নিশ’ জানান ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের। আজ, সোমবার সকালে অভিষেকের নির্দেশে মথুরাপুর লোকসভার সাংসদ বাপি হালদার সংবর্ধনা সভার আয়োজন করেন। সেখানে আবারও মালাবদল করেন নববিবাহিত দুই তরুণী। সেখানেই ফোনের মাধ্যমে দু’জনকে শুভেচ্ছা জানান ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ।
তারপর সমাজ মধ্যমে অভিষেক লেখেন, “সামাজিক বেড়াজাল ছিন্ন করে সুন্দরবনের দুই তরুণী বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়েছেন, যা বাংলা তথা দেশের কাছে দৃষ্টান্তস্বরূপ উদাহরণ – স্বাধীন ভারতের স্বাধীন মানসিকতার, মানবিকতার, মুক্তচিন্তা ভাবনার ও সাহসিকতার। সারাজীবন একসাথে থাকার অঙ্গীকার নিয়ে তাঁরা যে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছেন তা বাংলার কাছে ও বাঙালির কাছে গর্বের। সংকীর্ণতার গণ্ডি পেরিয়ে সামাজিক মতভেদ, ধর্মীয় মূল্যবোধ এবং সাংস্কৃতিক বাধা এসব অতিক্রম করে লক্ষ্যে স্থির থেকেছেন – প্রকৃত ভালোবাসাকে প্রাধান্য দিয়েই। তাঁদের এই পবিত্র ভালোবাসা চিরঅক্ষয় থাকুক। দক্ষিণ ২৪ পরগনার মন্দিরবাজারের বাসিন্দা রিয়া সর্দার ও বকুলতলার বাসিন্দা রাখি নস্কর এই নবদম্পতিকে আমি অনেক অনেক শুভেচ্ছা এবং হার্দিক অভিনন্দন জানাচ্ছি। পরমেশ্বরের আশীর্বাদ বর্ষিত হোক ওঁদের জীবনে। রঙিন হয়ে উঠুক আগামীর পথ।”
ডায়মন্ড হারবারের সাংসদের প্রত্যাশা, “বাংলাই আগামীকে পথ দেখায়। এই সাহসিকতার জোরেই আমাদের সমাজ অচলায়তন ভেঙে ও সংকীর্ণতাকে পিছনে ফেলে মুক্ত চিন্তাভাবনার অঙ্গন হয়ে উঠবে।”
উল্লেখ্য, রিয়া ও রাখি দু’জনেই নৃত্যশিল্পী। এক বান্ধবীর মাধ্যমে তাঁদের আলাপ। সম্প্রতি বিয়ে করেন তাঁরা। দক্ষিণ ২৪ পরগনার রামেশ্বরপুরের স্থানীয় এক ক্লাব সদস্যদের সহায়তায় মন্দিরে বিয়ে করেন তাঁরা।
