H-1B visa: বিদেশি কোনও কর্মচারীকে আর নির্ঝঞ্ঝাটে নিয়োগ করতে পারবে না মার্কিন সংস্থাগুলি, নতুন নির্দেশনামায় স্বাক্ষর ট্রাম্পের

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি, ৯.৫০: আমেরিকায় কর্মসংস্থানের স্বপ্ন দেখা বিদেশিদের জন্য এইচ-১বি ভিসা পাওয়া আরও কঠিন হল। দক্ষ, উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন হলেও বিদেশি কোনও কর্মচারীকে আর নির্ঝঞ্ঝাটে নিয়োগ করতে পারবে না মার্কিন সংস্থাগুলি! কারণ, আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ((Donald Trump) শুক্রবার নতুন এক নির্দেশনামায় স্বাক্ষর করেছেন। তাতে বলা হয়েছে, এ বার থেকে এইচ-১বি ভিসার জন্য মার্কিন সংস্থাগুলির কাছ থেকে বছরে এক লক্ষ ডলার (ভারতীয় মুদ্রায় ৮৮ লক্ষ টাকা) করে নেবে সরকার। এইচ-১বি ভিসা একটি অ-অভিবাসী ভিসা। এর মাধ্যমে বিভিন্ন দেশের দক্ষ কর্মীরা আমেরিকায় থেকে সেখানকার সংস্থার হয়ে কাজ করেন।
হোয়াইট হাউসের দাবি, এই সিদ্ধান্তে মার্কিন কর্মীদের চাকরি সুরক্ষিত হবে এবং কেবলমাত্র উচ্চ দক্ষতাসম্পন্ন কর্মীরাই আমেরিকায় কাজের সুযোগ পাবেন। প্রেস ব্রিফিংয়ে ট্রাম্প বলেন, “আমাদের দেশকে সেরা কর্মী চাই। এই প্রোক্লেমেশন নিশ্চিত করবে, আমেরিকা এখন থেকে কেবল ভালো কর্মীই পাবে।”
মার্কিন প্রেসিডেন্টের নয়া সিদ্ধান্তে চাপে ভারতীয় আইটি সংস্থাগুলি। কারণ, H-1B ভিসার ক্ষেত্রে বরাবরই সবচেয়ে বড় অংশীদার ভারত। শুধু গত বছরেই মোট ভিসাধারীদের ৭১ শতাংশ ছিলেন ভারতীয়রা। মাইক্রোসফট, অ্যামাজন, মেটা-সহ একাধিক মার্কিন টেক জায়ান্টের হাজার হাজার ভারতীয় কর্মী রয়েছেন এই ভিসায়। ফলে নতুন ফি কাঠামোয় সবচেয়ে বড় ধাক্কা ভারতীয়দেরই লাগবে বলে আশঙ্কা বিশেষজ্ঞদের।
এইচ-১বি ভিসার দৌলতেই মার্কিন সংস্থাগুলিতে রয়েছে তারা। এই ভিসার মাধ্যমেই বিভিন্ন দেশের দক্ষ কর্মীরা আমেরিকায় থেকে সেখানকার সংস্থার হয়ে কাজ করেন। এবার সেই ভিসার জন্য এত খরচ কোনও কোম্পানির পক্ষেই করা সম্ভব নয়। তাই ভারতের পাশাপাশি চীনের নবপ্রজন্মদের ক্ষেত্রেও চিন্তা বাড়ল ট্রাম্পের এই নতুন পদক্ষেপ। বিশেষজ্ঞদের মতে, শুধুমাত্র মার্কিনিদের জন্যই এই পদক্ষেপ নিয়েছেন ট্রাম্প। কিন্তু বহু দক্ষ কর্মী ভারত ও চীন থেকেই যায় আমেরিকাতে টেক কোম্পানিগুলিতে কাজ করতে। এমনকী মার্কিন সংস্থাগুলির প্রথম পছন্দের তালিকাতেও রয়েছে বিদেশি দক্ষ কর্মীরাই। সেই বিষয়ে এবার চাপ বাড়ালেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।