রাষ্ট্রপুঞ্জে সম্মানহানি ট্রাম্পের! সরব হয়েছে হোয়াইট হাউস

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি, ১৫:৩০: নিউইয়র্কে রাষ্ট্রসঙ্ঘের সাধারণ পরিষদের ৮০তম অধিবেশন চলছে। গুরুত্বপূর্ণ বিশ্ব বিষয় নিয়ে বড় বড় নেতারা তাদের বক্তৃতা দিচ্ছেন। মঙ্গলবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পও এই অধিবেশনে অংশ নিতে এসেছিলেন। আমেরিকার ফার্স্ট লেডি তথা ট্রাম্পের স্ত্রী স্ত্রী মেলানিয়া ট্রাম্পও তাঁর সঙ্গে ছিলেন। ট্রাম্প এবং মেলানিয়া রাষ্ট্রসঙ্ঘের ভবনে অধিবেশন অংশে যাওয়ার জন্য এসকেলেটরে ওঠার সময় এটি হঠাৎ বন্ধ হয়ে যায়। ট্রাম্প এবং মেলানিয়া কয়েক সেকেন্ড অপেক্ষা করেন কিন্তু এসকেলেটর কাজ করেনি। শেষপর্যন্ত তারা পায়ে হেঁটে ওপরে যান।
এরপর ভাষণেও বিপত্তির সম্মুখীন হন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। দেখা যায় তাঁর টেলিপ্রম্পটার কাজ করছে না। তখন ক্ষোভ চাপা থাকেনি। এমনীতেই ভাষণে রাষ্ট্রপুঞ্জের ভূমিকা নিয়ে বারে বারে প্রশ্ন তোলেন। বলেন, এই প্রতিষ্ঠান কার্যকারীতা হারিয়েছে। ভাষণের এক পর্যায়ে মুখ খোলেন এসক্যালেটর এবং টেলিপ্রম্পটার নিয়েও। যদিও হাল্কা চালেই বলেন, রাষ্ট্রপুঞ্জ আমাকে দুটি জিনিস দিয়েছে, একটা খারাপ এসক্যালেটর আর একটা অচল টেলিপ্রম্পটার।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট বিষয়টি শেষ পর্যন্ত লঘু করার চেষ্টা করলেও তাঁর ও রাষ্ট্রপুঞ্জ ভবনের নিরাপত্তা আধিকারিকেরা থেমে থাকেননি। তাঁরা তদন্ত চালিয়ে এখনও নিশ্চিত হতে পারেননি কেন কাজ করেনি টেলিপ্রম্পটার। কিন্তু এসক্যালেটর কাণ্ডে সর্ষের মধ্যে ভূত আবিস্কার করেছেন কালপ্রিট আসলে ট্রাম্পের এক ভিডিওগ্রাফার। তিনি আগেভাগে রাষ্ট্রপুঞ্জের অধিবেশন কক্ষে প্রবেশ করার জন্য এসক্যালেটরের ইমার্জেন্সি বাটন পুশ করেছিলেন। লক্ষ্য করেননি পিছনে সস্ত্রীক প্রেসিডেন্ট ততক্ষণে এসক্যালেটরে উঠে পড়েছেন।
সরব হয়েছে হোয়াইট হাউস। সিঁড়িটি হঠাৎ কেন বন্ধ হয়ে গেল, তা নিয়ে তদন্তের দাবি জানানো হয়েছে। হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি ক্যারোলিন লেভিট নিজের এক্স হ্যান্ডলে লিখেছেন, ‘‘এটা মেনে নেওয়া যায় না। এটা কোনও সাধারণ ত্রুটি না-ও হতে পারে। যদি রাষ্ট্রপুঞ্জের কেউ ইচ্ছাকৃত ভাবে এই কাজ করে থাকেন, তা হলে অবিলম্বে তাঁকে বরখাস্ত করা উচিত। ঘটনাটি তদন্ত করে দেখা হোক।’’