ভারতের উপর Tariff-র বোঝা চাপিয়ে পাকিস্তানকে বাড়তি গুরুত্ব দিয়ে বাণিজ্য চুক্তি Trump-র
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের (Donald Trump) দাবি, বাণিজ্য বন্ধের হুঁশিয়ারি দিয়ে তিনিই ভারত-পাক যুদ্ধ থামিয়েছেন।

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি, ১০:৩৭: মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের (Donald Trump) দাবি, বাণিজ্য বন্ধের হুঁশিয়ারি দিয়ে তিনিই ভারত-পাক যুদ্ধ থামিয়েছেন। বুধবার ট্রাম্পকে মিথ্যেবাদী না বললেও মোদী এবং তাঁর সরকারের দাবি, কোনও তৃতীয় পক্ষের হস্তক্ষেপে ভারত-পাক যুদ্ধ থামেনি। এরপরেই ভারতের উপর শুল্কের বোঝা চাপিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প (Donald Trump)।
ভারতের ওপর ২৫ শতাংশ শুল্ক (Tariff) এবং অতিরিক্ত জরিমানার কথা ঘোষণা করার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই পাকিস্তানের (Pakistan) সঙ্গে নতুন বাণিজ্যিক চুক্তির কথা ঘোষণা করেছেন ট্রাম্প। সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে তিনি বলেন, পাকিস্তানের বিশাল তেলভাণ্ডারের উন্নয়নের লক্ষ্যে মার্কিন প্রশাসন ও ইসলামাবাদ একসঙ্গে কাজ করবে। ট্রাম্প সমাজ মাধ্যমে লেখেন, “আমরা পাকিস্তানের সঙ্গে একটি নতুন চুক্তি করেছি। উভয় দেশ মিলে তাদের বিশাল তেল সম্পদ উন্নয়নের কাজ করবে। খুব শিগগিরই নির্ধারণ করা হবে কোন তেল সংস্থা এই প্রকল্পে নেতৃত্ব দেবে। কে জানে, হয়তো একদিন ওরা ভারতের কাছেও তেল বিক্রি করবে!”
ভারত সম্পর্কে সমাজ মাধ্যমে ট্রাম্প জানান, রাশিয়া এবং চীনের সঙ্গে ভারতের সম্পর্কে রুষ্ট হয়ে ২৫ শতাংশ শুল্ক চাপানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। বড় জরিমানার ঘোষণাও করেছেন তিনি। ভারত পদক্ষেপ করবে বলেও ইঙ্গিত দিয়েছে। অন্যদিকে, আন্তর্জাতিক মহলে আমেরিকা-পাকিস্তান চুক্তি (US-Pakistan Trade Deal) হওয়ার পর জল্পনা বাড়ছে।
ভারতের ওপর শুল্কের বোঝা চাপিয়ে ট্রাম্পের বক্তব্য ছিল, ভারত বন্ধু হলেও বহুদিন ধরেই আমেরিকার সঙ্গে সীমিত বাণিজ্য করে আসছে। চড়া শুল্ক এবং নানা রকম অমূল্যভিত্তিক বাণিজ্য বাধা তৈরি করে রেখেছে। ভারত এখনও রাশিয়া থেকে তেল আমদানি করছে। সেই কারণেই এই পদক্ষেপ। বুধবার ট্রুথ সোশালে ট্রাম্প লেখেন, “মনে রাখতে হবে, ভারত আমাদের বন্ধু হলেও আমাদের দুই দেশের দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য খুবই কম। তার কারণ ওদের শুল্ক হার খুব বেশি। তাছাড়াও, ওদের যুদ্ধাস্ত্রের অনেকটাই রাশিয়া থেকে কেনা। রুশ শক্তি সম্পদের সবচেয়ে বড় ক্রেতা ভারত এবং চিন। বিশেষত সেই সময়ে, যখন সকলে বলছি রাশিয়ার উচিৎ ইউক্রেনে গণহত্যা বন্ধ হোক। তাই ভারত এবার ২৫ শতাংশ শুল্ক দেবে। আলাদা করে রাশিয়া থেকে তেল এবং অস্ত্র কেনার শাস্তিও পেতে হবে ভারতকে। ১ আগস্ট থেকে নতুন শুল্কহার কার্যকর হবে।”
পাল্টা নয়াদিল্লি বিবৃতিতে বলেছে, ‘ভারত ও আমেরিকা গত কয়েক মাস ধরে একটি ন্যায্য, ভারসাম্যপূর্ণ এবং পারস্পরিকভাবে লাভজনক দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য চুক্তির উদ্দেশ্যে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে। সেই লক্ষ্যেই আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’
জাতীয় স্বার্থকে সুরক্ষিত করতে সব রকম পদক্ষেপ করবে সরকার, ভারতের উপর ট্রাম্প ২৫ শতাংশ শুল্ক চাপানোর পর প্রথম বিবৃতিতে এমনই জানায় বাণিজ্য মন্ত্রক। বিবৃতিতে বলা হয়, কৃষক ও ক্ষুদ্র এবং মাঝারি শিল্পকে রক্ষা করাকে যথেষ্ট গুরুত্ব দিচ্ছে সরকার। বাণিজ্য মন্ত্রকের তরফ থেকে বিবৃতি দিয়ে বলা হয়, “দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য নিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্টের বক্তব্য খতিয়ে দেখছে সরকার। এই ঘোষণার কী প্রভাব পড়তে পারে সেটাও বিবেচনা করে দেখা হচ্ছে। দুই দেশের পক্ষে লাভজনক এবং স্বচ্ছ দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যচুক্তি নিয়ে গত কয়েকমাস ধরে ভারত এবং আমেরিকা আলোচনা করেছে। সেই বিষয়টি নিয়ে আমরা এখনও আগ্রহী।”