রবীন্দ্র সেতু ও দ্বিতীয় হুগলি সেতুর চাপ কমাতে জলপথে পণ্য পরিবহণে বিকল্প ভাবনা রাজ্যের
পরবর্তীতে এই রোরো ভেসেলের মাধ্যমেই গঙ্গাপাড়ের দুই শহরের মধ্যে পণ্য পরিবহণে গতি আসতে চলেছে।

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: রবীন্দ্র সেতু ও দ্বিতীয় হুগলি সেতুর উপর বাড়ছে পণ্যবাহী ভারী যান চলাচলের চাপ। এবার জলপথে পণ্য পরিবহণে বিকল্প ভাবনা শুরু করেছে রাজ্য পরিবহণ দপ্তর। গঙ্গার এক পাড় থেকে অন্য পাড়ে দ্রুত পণ্য পৌঁছে দিতে রোরো ভেসেলের ব্যবহার বাড়াচ্ছে দপ্তর। সেই লক্ষ্যে সোমবার শালিমার জেটিঘাটে একটি নতুন রোরো ভেসেলের উদ্বোধন করলেন পরিবহণ মন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তী।
আপাতত গঙ্গাসাগরে সেটিকে যানবাহন পারাপারের কাজে ব্যবহার করা হবে। তবে পরবর্তীতে এই রোরো ভেসেলের মাধ্যমেই গঙ্গাপাড়ের দুই শহরের মধ্যে পণ্য পরিবহণে গতি আসতে চলেছে।
সোমবার দুপুরে রাজ্য সরকারের শিপ বিল্ডিং ওয়ার্কসের তৈরি নতুন রোরো ভেসেলের উদ্বোধন করেন পরিবহণ মন্ত্রী। শালিমার জেটিঘাট থেকে বাবুঘাট পর্যন্ত রোরো ভেসেলে পরিদর্শন করেন তিনি। ভেসেলটি তৈরি করতে খরচ হয়েছে প্রায় পাঁচ কোটি টাকা। এই রোরো ভেসেলে একইসঙ্গে ৬টি ভারী ট্রাক ও ৫০ জন যাত্রী পারাপার করতে পারবে।
পরিবহণ মন্ত্রী বলেন, ‘রবীন্দ্র সেতুর মতো দ্বিতীয় হুগলি সেতুতেও এখন যানজট বাড়ছে। তার অন্যতম কারণ ভারী ট্রাক চলাচল। ব্রিজের উপর সেই চাপ কমাতে রোরো ভেসেলের মাধ্যমে নদীর এক পাড় থেকে অন্য পাড়ে দ্রুত পণ্য পৌঁছে দেওয়া হবে।’ গত কয়েক মাস আগেও শালিমার শিপ বিল্ডার্স একটি বড় মাপের রোরো ভেসেল তৈরি করেছিল। বর্তমানে সেটিকে দক্ষিণ ২৪ পরগনার রায়চক থেকে কুমড়োহাটি পর্যন্ত যানবাহন ও যাত্রী পারাপারের কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে। মন্ত্রী আরও বলেন, ‘ইতিমধ্যেই শালিমার ও গার্ডেনরিচে জেটিঘাট তৈরির জন্য জায়গা চিহ্নিতকরণের কাজ চলছে।’