রয়টার্স সহ ২০০০-র বেশি হ্যান্ডেল Block! পারস্পরিক দোষারোপে X ও মোদী সরকার
নয়াদিল্লির তরফে নাকি বারবার আর্জি জানানো হলেও এক্স কর্তৃপক্ষ ইচ্ছাকৃতভাবে প্রায় ২১ ঘণ্টা পর অ্যাকাউন্টগুলি চালু করে।

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি, ১৩:২১: আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থা রয়টার্স সহ বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের ‘এক্স’ (পূর্বতন টুইটার) হ্যান্ডেল ‘ব্লক’ হওয়ার ঘটনা নিয়ে বিতর্ক বাড়ছে। ইতিমধ্যেই একে অপরের দিকে দায় ঠেলা শুরু করেছে মোদী সরকার ও এক্স কর্তৃপক্ষ। এক্স-র দাবি, গত ৩ জুলাই মোদী সরকারের নির্দেশেই রয়টার্স সহ ২, ৩৫৫টি অ্যাকাউন্ট ব্লক করা হয়েছিল। তারা কেবল নির্দেশ পালন করেছে মাত্র। না-হলে আইন অনুযায়ী তাদের জরিমানার মুখে পড়তে হত। ভারতে সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা নিয়েও এদিন প্রশ্ন তোলে মাস্কের সংস্থা। মোদী সরকারের তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রকের দাবি, ৩ জুলাই এমন কোনও নির্দেশ জারিই করা হয়নি। নয়াদিল্লির তরফে নাকি বারবার আর্জি জানানো হলেও এক্স কর্তৃপক্ষ ইচ্ছাকৃতভাবে প্রায় ২১ ঘণ্টা পর অ্যাকাউন্টগুলি চালু করে।
৬ জুলাই রয়টার্সের মূল এক্স অ্যাকাউন্ট এবং রয়টার্স ওয়ার্ল্ড অ্যাকাউন্টটি ভারত থেকে অ্যাক্সেস করা যাচ্ছিল না। সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপের অভিযোগে সরব হয় নানা মহল। ৭ জুলাই রাতে স্বমহিমায় ফেরে অ্যাকাউন্টগুলি। মঙ্গলবার, এক্স-র গ্লোবাল গভর্নমেন্ট অ্যাফেয়ার্স টিম সমাজ মাধ্যমে লেখে, “সরাসরি তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রকের নির্দেশেই অ্যাকাউন্টগুলি ব্লক করা হয়েছিল। কোনও কারণ বলা হয়নি। ১ ঘণ্টার মধ্যে সেই নির্দেশ পালনের কথা জানায় মন্ত্রক। বলে দেওয়া হয়, পরবর্তী নির্দেশ না-আসা পর্যন্ত অ্যাকাউন্টগুলি যেন ফেরানো না হয়।” আরও লেখা হয়, “ভারতের তথ্যপ্রযুক্তি আইনের ৬৯এ ধারার অধীনে এই নির্দেশ দিয়েছিল দিল্লি। ফলে তা পালন না করলে ফৌজদারি অপরাধে দোষী সাব্যস্ত হওয়ার ঝুঁকি ছিল।” এবারই প্রথম নয়। আগেও একাধিরবার ভারত সরকারের এমন অ্যাকাউন্ট বন্ধ করার প্রবণতা নিয়ে সরব হয়েছে এক্স কর্তৃপক্ষ। তথ্যপ্রযুক্তি আইনের অপব্যবহারের অভিযোগ তুলে কেন্দ্রকে আক্রমণ করেছিল এক্স।
এক্স জানায়, ভারতের মাটিতে সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা নিয়ে তারা উদ্বিগ্ন। এমন নির্দেশ জারি সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপকেই মান্যতা দিচ্ছে। এহেন আক্রমণের পরই নড়েচড়ে বসে মোদী সরকার। তথ্যুপ্রযুক্তি মন্ত্রকের মুখপাত্র বিবৃতি দিয়ে জানান, গত ৩ জুলাই এমন কোনও নির্দেশ দেওয়াই হয়নি। সরকারের তেমন কোনও অভিপ্রায়ও ছিল না। অ্যাকাউন্ট ব্লক হওয়ার কথা জানতে পেরে দিল্লিই দ্রুত এক্স কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করে সেগুলি আনব্লক করতে বলে। ৫ জুলাই মধ্যরাত থেকে লাগাতার এবিষয়ে এক্স-র কাছে দরবার করা শুরু হয়েছিল। প্রযুক্তিগত সমস্যার অজুহাতে নাকি তা করছিল না এক্স। শেষপর্যন্ত ৬ জুলাই রাত ৯টায় অ্যাকাউন্টগুলি পুনরায় চালু হয়।