আব্বাস-ময় ব্রিগেডে হাতে গোনা মহিলা বক্তা, প্রশ্নের মুখে বামেরা

একুশের ব্রিগেডে ইতিহাস হল কলুষিত।

February 28, 2021 | < 1 min read
Published by: Drishti Bhongi

‘ওদের আমরা ছাড়বক নাই।’ গতবারের ব্রিগেড সেরে ফেরার পথে বাম কর্মীদের মুখে মুখে ফিরেছিল জনজাতির টান মাখা এই লাইনটি। এই উক্তিতে সেদিন ব্রিগেড মাতিয়েছিলেন CPIM-এর রাজ্য কমিটির সদস্য তথা জনজাতি নেত্রী দেবলীনা হেমব্রম। নেত্রীর আট মিনিটের বক্তব্য উপস্থিত জনতাকে যেন ভাসিয়ে নিয়ে গিয়েছিল।

কিন্তু একুশের ব্রিগেডে ইতিহাস হল কলুষিত। ব্রিগেডে তাবড় নেতাদের অভাব ছিলনা। সিপিএমের সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি থেকে ছত্তিশগড়ের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেশ বাঘেল। অধীর চৌধুরি থেকে সূর্যকান্ত বিমান বসু। কিন্তু সবাইকে ছাপিয়ে গুরুত্ব পেলেন ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্টের নেতা আব্বাস সিদ্দিকি। মহিলা বক্তা হিসেবে হাতে গোনা দুইজন – ঐশী ঘোষ এবং দেবলীনা হেমব্রম।

জোটের ব্রিগেডে বক্তা হিসেবে দেবলীনাকে একদম শেষে বলার সুযোগ দেওয়া হয়, যখন মাঠ খালি হতে শুরু করেছে। উল্টে আব্বাস সিদ্দিকির ইন্ডিয়ান সেক্যুলার ফ্রন্টই বক্তাদের তালিকায় প্রাধান্য পেল। ফলে কিছুটা জায়গা ছাড়তে হল দেবলীনাদের।

এবারের বক্তাদের ছিল তালিকা দীর্ঘ। সীতারাম ইয়েচুরি, ভূপেশ বাঘেল, আব্বাস সিদ্দিকিরা স্বাভাবিকভাবেই একটু বেশি সময় পান। এছাড়া ছোট-মেজ নেতারাও ছিলেন। কিন্তু এই তালিকায় মহিলা নামমাত্র থাকায় স্বভাবতই প্রশ্ন উঠছে। যেখানে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী নিজেকে বাংলার মেয়ে বলে তুলে ধরছেন, সেখানে অন্যতম প্রতিপক্ষ কেন কোনো মহিলাদের প্রাধান্য দিল না, উঠছে প্রশ্ন।

উল্লেখ্য, বহুকাল ধরে সিপিএমের পলিটব্যুরোতে কোনও মহিলা সদস্য ছিলেন না। এখন যদিও সবেধন নীলমণি বৃন্দা কারাত আছেন। আজ ব্রিগেডে তাকেও সাইডলাইন করা হল। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক মহিলা কর্মীর প্রশ্ন, ‘ব্রিগেডে মহিলা বক্তার সংখ্যা হাতে গোনা। মহিলা নেত্রী বলে নয়, দেবলীনা সুযোগ পেয়েছিলেন যোগ্যতার নিরিখে। ভরসার মর্যদা রক্ষার পরও দ্বিচারিতা কেন?’

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

ভিডিও

আরও পড়ুন

Decorative Ring
Maa Ashchen