ধূপগুড়ির স্বজনহারাদের পাশে দিনভর থাকলেন রাজ্যের দুই মন্ত্রী

দুই মন্ত্রী চিত্তরঞ্জন কলোনিতে গিয়ে দুর্ঘটনায় আহত কোয়েলের দাদু ক্ষিতিশ বর্মন ও দিদা মিনতী দাসের সঙ্গেও দেখা করেন।

January 22, 2021 | 2 min read
Published by: Drishti Bhongi

বুধবারের মতো বৃহস্পতিবারও দিনভর ধূপগুড়ির(Dhupguri) দুর্ঘটনায় স্বজনহারাদের পাশে থাকলেন দুই মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস(Aroop Biswas) ও গৌতম দেব(Goutam Deb)। এদিনও পূর্তমন্ত্রী অরূপবাবু ও পর্যটনমন্ত্রী গৌতমবাবু ওই দুর্ঘটনায় মৃত ও আহতদের বাড়িতে যান। তাঁরা মৃতদের পরিবারের সদস্যদের হাতে ২ লক্ষ ৫০ হাজার টাকার এবং আহতদের পরিবারের হাতে ৫০ হাজার টাকার চেক তুলে দেন। শুধু তাই নয়, দুই রাত জেগে দুর্ঘটনার পরবর্তী পরিস্থিতি সামাল দিয়েছেন মন্ত্রীরা। দু’দিন ধরে তাঁরা গোটা বিষয়টি তদারকি করার পাশাপাশি শোকার্ত পরিবারগুলির পাশে থাকার বার্তা দেন। এদিকে কেন্দ্রের তরফে মৃতের আত্মীয় ও আহতদের জন্য ঘোষিত আর্থিক সাহায্য এখনও এসে পৌঁছয়নি। এদিন পূর্তমন্ত্রী বলেন, মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে এখানে এসেছি। মৃতদের পরিবারের সদস্যদের সমবেদনা জানিয়েছি। আহতদের চিকিৎসার খোঁজ নিয়েছি। আমরা পরিবারগুলির পাশে আছি।   
মঙ্গলবার রাতে ধূপগুড়িতে সড়ক দুর্ঘটনায় ১৪ জনের মৃত্যু হয়। মৃতদের মধ্যে শিলিগুড়ির সম্ভাবনাময় অ্যাথলিট কোয়েল বর্মন(Koyel Barman) (১৪) একজন। শহরের দুর্গাদাস কলোনিতে তার বাড়ি। বৃহস্পতিবার দুপুরে বাড়িতে মেয়ের ছবি, তার সার্টিফিকেট ও পদক জড়িয়ে ধরে কাঁদছিলেন কোয়েলের মা পিঙ্কি বর্মন ও বাবা দুলাল বর্মন। হাতজোড় করে তাঁদের কাছে যান পূর্তমন্ত্রী, পর্যটনমন্ত্রী ও তৃণমূলের দার্জিলিং জেলা সভাপতি (সমতল) রঞ্জন সরকার(Ranjan Sarkar)। সমবেদনা জানানোর পাশাপাশি তাঁরা কোয়েলের মা’র হাতে আড়াই লক্ষ টাকার চেক তুলে দেন। সেখান থেকে দুই মন্ত্রী চিত্তরঞ্জন কলোনিতে গিয়ে দুর্ঘটনায় আহত কোয়েলের দাদু ক্ষিতিশ বর্মন (৫২) ও  দিদা মিনতী দাসের (৪৫) সঙ্গেও দেখা করেন। তাঁদেরকে ৫০ হাজার টাকা করে দু’টি চেক দেওয়া হয়। এরপর শিলিগুড়িতে আরও দু’টি নার্সিংহোমে গিয়ে পূর্তমন্ত্রী আহতদের সঙ্গে দেখা করেন। তাঁদের চিকিৎসার খোঁজখবর নেন। ক্ষিতিশবাবুর ছেলে পরিতোষ বর্মন বলেন, রাজ্য সরকারের কাছ থেকে সাহায্য পেলাম। কিন্তু কেন্দ্রীয় সরকারের তরফ থেকে এখনও কোনও সাহায্য পাইনি।
ওই দুর্ঘটনায় মাল ব্লকের পশ্চিম ডামডিমের লক্ষ্মী সিংহ রায় (৫৫) ও মেনোকা রায় (৪৫) প্রাণ হারান। এদিন তাঁদের বাড়িতে গিয়েও সমবেদনা জানান দুই মন্ত্রী। সেখান থেকে মন্ত্রীরা ওদলাবাড়িতে যান। এখানে দু’টি পরিবারের পাঁচ সদস্য ওই দুর্ঘটনায় মারা গিয়েছেন। এরপর মন্ত্রীরা ক্রান্তির বারোঘোরিয়ায় গিয়ে মৃত মা ও মেয়ের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেন। মর্মান্তিক ওই ঘটনায় ময়নাগুড়ির রানিরহাট এলাকার কৃষক অমল রায় ও তাঁর দুই ছেলের মৃত্যু হয়েছে। বুধবার তাঁদের বাড়িতে  যান দুই মন্ত্রী। দুর্ঘটনার ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে ১৪ জন মৃতের আত্মীয় এবং ১৬ জন আহতের হাতে ক্ষতিপূরণের চেক তুলে দিয়েছে রাজ্য সরকার।
এদিকে, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেছিলেন, মৃতদের দু’লক্ষ ও আহতদের ৫০ হাজার টাকা করে দেওয়া হবে। এব্যাপারে জলপাইগুড়ির সাংসদ বিজেপির জয়ন্ত রায় বলেন, বিষয়টি প্রক্রিয়ার মধ্যে রয়েছে। দ্রুত মৃতদের আত্মীয়রা ও আহতরা ওই চেক পাবেন। জলপাইগুড়ি জেলা প্রশাসনের এক আধিকারিক বলেন, কেন্দ্রীয় সরকারের কাছ থেকে ক্ষতিপূরণের চেক আসার কথা আছে। এখনও তা জেলায় এসে পৌঁছয়নি।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

ভিডিও

আরও পড়ুন

Decorative Ring
Maa Ashchen