মেঘালয় থেকে গ্রেপ্তার হাদি হত্যাকাণ্ডের দুই সন্দেহভাজন, কী বলছে ঢাকা পুলিশ?

December 28, 2025 | 2 min read

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি, ১৫.০০: ইলকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ওসমান হাদি হত্যাকাণ্ডের (Osman Hadi) মূল সন্দেহভাজন ফয়সাল করিম ওরফে দাউদ খানের দুই সহযোগীকে গ্রেপ্তার করেছে মেঘালয় পুলিশ। আজ, রবিবার ঢাকা মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস) এনএন মহম্মদ নজরুল ইসলাম সাংবাদিক বৈঠক করে এ কথা জানিয়েছেন। নজরুল ইসলাম জানিয়েছেন, মূল সন্দেহভাজনকে এখনও ধরা যায়নি, খুনের কারণ বা উদ্দেশ্য সম্পর্কে এখনও কিছু জানা যায়নি।

হাদি হত্যাকাণ্ডের তদন্তের অগ্রগতি জানাতে ঢাকার মিন্টো রোডে রবিবার ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে সাংবাদিক বৈঠক করেন নজরুল ইসলাম। তাঁর দাবি, ‘‘তদন্ত শেষ পর্যায়ে রয়েছে। আশা করছি আগামী ৭-১০ দিনের মধ্যে আমরা চার্জশিট দিতে পারব।’’ তিনি আরও বলেন, হাদির হত্যাকাণ্ড পূর্বপরিকল্পিত। ঘটনার পর ফয়সাল ও আলমগীর ঢাকা থেকে সিএনজিচালিত অটোরিকশায় আমিনবাজারে যান। সেখান থেকে গাড়িতে করে কালামপুরে যান। কালামপুর থেকে আর একটি গাড়িতে করে ময়মনসিংহ সীমান্তে যান। সেখানে ফয়সাল ও আলমগীরকে নেন ফিলিপ পাল ও সঞ্জয়। তাঁরা সীমান্তে অবৈধভাবে মানুষ পারাপার করেন। ফিলিপ দু’জনকে ভারতের মেঘালয় রাজ্যে নিয়ে যান। ঢাকা মহানগরের পুলিশ অতিরিক্ত কমিশনার জানিয়েছেন, ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট সীমান্ত দিয়ে মেঘালয়ে পালান ফয়সাল এবং আলমগীর শেখ।

উল্লেখ্য, আগে ঢাকা পুলিশ জানিয়েছিল, হাদি খুনের ঘটনায় দুই সন্দেহভাজনকে শনাক্ত করা হয়েছে। তাঁরা হাদির হত্যাকারী এবং সহযোগীদের পালাতে সাহায্য করেছিলেন। শনাক্ত হওয়া দু’জনের মধ্যে এক জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ধৃতের নাম আমিনুল ইসলাম। তিনি আওয়ামী লিগের যুব সংগঠন যুবলিগের নেতা তাইজুল ইসলাম চৌধরীর ভগ্নিপতি বলে দাবি করছে পুলিশ। এবার প্রধান অভিযুক্তের দুই সহযোগী গ্রেপ্তার হলেন।

ঢাকা পুলিশ সূত্রে আরও জানা যাচ্ছে, হালুয়াঘাট সীমান্ত দিয়ে সন্দেহভাজনেরা মেঘালয়ে পালিয়েছেন। সীমান্ত পেরোনোর পর সন্দেহভাজনেরা পূর্তি নামে এক ব্যক্তির সঙ্গে দেখা করেন। তার পর সামি নামে এক ট্যাক্সিচালক সন্দেহভাজনদের তুরা শহরে পৌঁছে দেন। সহযোগী পূর্তি এবং সামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, ১২ ডিসেম্বর ঢাকার রাস্তায় গুলিবিদ্ধ হয়েছিলেন হাদি। তাঁকে চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুরে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের তরফে। ছ’দিন পর তাঁর মৃত্যু হয়। এর পরেই বাংলাদেশ উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। সাংস্কৃতিক ভবন, সংবাদপত্রের দপ্তরে হামলা চালানো হয়। শুরু হয় সংখ্যালঘুদের উপর আক্রমণ। হাদির হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত সন্দেহে অনেককে পাকড়াও করেছে বাংলাদেশ পুলিশ। এখনও পর্যন্ত মূল অভিযুক্ত ফয়সাল করিম এবং তাঁর প্রধান আলমগীর শেখের খোঁজ মেলেনি। ঢাকা পুলিশের অভিযোগ, অভিযুক্তরা ভারতে পালিয়ে এসেছেন।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

ভিডিও

আরও পড়ুন

Decorative Ring
Maa Ashchen