হোপ মিশন: মঙ্গলের পথে প্রথম মহাকাশযান আরবের

প্রসঙ্গত, এই প্রথম কোনও ইসলামিক দেশ থেকে মহাকাশ অভিযানের সূচনা হল।

July 20, 2020 | 2 min read
Published by: Drishti Bhongi

২০ জুলাই তারিখটা বিশ্বের মহাকাশ যাত্রার ইতিহাসের পাতায় মাইল ফলক হয়ে রইল। এই দিনেই রাত দুটো নাগাদ লালগ্রহ মঙ্গলের দিকে উড়ে গেল সংযুক্ত আরব আমিরশাহীর (UAE) মহাকাশ যান। এটাই আরবের প্রথম মঙ্গল অভিযান। এই অভিযানে মূলত মঙ্গলের (Mars) আবহাওয়া নিরীক্ষণ করা হবে। যা লালগ্রহে প্রাণের সঞ্চার হতে পারে কি না সেই সম্পর্কে ধারণা তৈরি করতে সাহায্য করবে। 

সোমবার স্থানীয় সময় রাত ১ টা বেজে ৫৮ মিনিটে জাপানের তানেগাশিমা মহাকাশ কেন্দ্র থেকে মঙ্গলের উদ্দেশে (Mars Mission) রওনা দেয় আরবের মহাকাশ যান। এই মঙ্গল অভিযানের নাম ‘আশা’ (Hope)। নিজেদের টুইটার পেজে এই অভিযানের তথ্য তুলে ধরেছে সংযুক্ত আরব আমিরশাহীর মহাকাশ গবেষণা সংস্থা। তাঁদের আশা, আগামী ২০০ দিনের মধ্যে অর্থাৎ ২০২১ সালের মাঝামাঝি লালগ্রহের কক্ষপথে পৌঁছে যাবে এই মহাকাশ যানটি। তারপর মঙ্গলের (Mars) আবহাওয়া বোঝার কাজ শুরু হবে।

সাত মাসে ৪৯৩ মিলিয়ন কিলোমিটার পথ অতিক্রম করবে মহাকাশ যানটি। মঙ্গল গ্রহের হিসেবে ৬৮৭ দিনে একটা বছর হয়। মঙ্গলের কক্ষপথে একটা বছর কাটাবে এটি। এই এক বছর ধরে মঙ্গলের আবহাওয়ায় কী পরিবর্তন চলছে তার বাস্তব চিত্র পৃথিবীতে আসবে। এটাই প্রথম মহাকাশ যান যেটা গোটা বছর ধরে মহাকাশের প্রতিটি দিন-রাতের আবহাওয়ার হালহকিকত পর্যবেক্ষণ করবে। এর মধ্যে রয়েছে মরশুম পরিবর্তন, মঙ্গলের কুখ্যাত ধুলোর ঝড়ও।

মঙ্গলের বায়ুমণ্ডলের উচ্চস্তর ও নিম্নস্তরের মধ্যে যে যোগাযোগ রয়েছে তাও পরীক্ষা করে দেখবে আশা। এর ফলে, কেন মঙ্গল তার উচ্চস্তরের বায়ুমণ্ডলকে হারাচ্ছে তাও জানা যাবে। একই সঙ্গে প্রাচীনকালে লালগ্রহের আবহাওয়া কেমন ছিল তারও একটা স্পষ্ট ধারণা তৈরি হবে।ফলে ভবিষ্যতে সেখানো কোনও প্রাণ সঞ্চার হতে পারে কিনা, তারও বিস্তারিত ধারণা মিলবে। প্রসঙ্গত, এই প্রথম কোনও ইসলামিক দেশ থেকে মহাকাশ অভিযানের সূচনা হল।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

ভিডিও

আরও পড়ুন

Decorative Ring
Maa Ashchen