দোনবাসকে মৃত্যুপুরীতে পরিণত করেছে রুশসেনা, যুদ্ধের বীভৎসতা প্রকাশ্যে আনলেন জেলেনস্কি

গত এপ্রিলে সামরিক অভিযানের প্রথম পর্বে ইতি টানার কথা ঘোষণা করে রাশিয়া। কিন্তু, মারিওপল ও দোনবাস অঞ্চলে আক্রমণ তীব্র করে তোলে রুশবাহিনী।

May 21, 2022 | < 1 min read
Published by: Drishti Bhongi

রুশসেনা দোনবাসকে মৃত্যুপুরীতে পরিণত করেছে। রুশ সেনার ভয়াবহ আক্রমণে ছারখার হয়ে গিয়েছে দোনবাস, এমনটাই জানিয়েছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। অথচ রাশিয়ার তরফে দাবি করা হয়েছিল, দোনবাস নাকি মুক্তির অপেক্ষায়! কিয়েভের মদতে নতুন নাৎসিদের উৎপাতে বিপন্ন দোনবাসের রুশভাষী জনতা। যদিও বাস্তব চিত্রটি একেবারেই আলাদা।

প্রসঙ্গত, ফেব্রুয়ারির ২৪ তারিখে ইউক্রেনের বিরুদ্ধে ‘বিশেষ সামরিক অভিযান’ শুরু করে রাশিয়া। কিন্তু এখনও কিয়েভ দখল করতে পারেনি তারা। গত এপ্রিলে সামরিক অভিযানের প্রথম পর্বে ইতি টানার কথা ঘোষণা করে রাশিয়া। কিন্তু, মারিওপল ও দোনবাস অঞ্চলে আক্রমণ তীব্র করে তোলে রুশবাহিনী।

বৃহস্পতিবার ১৯ মে, নিজের গোপন ডেরা থেকে দেওয়া ভিডিও বার্তায় ইউক্রেন প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি অভিযোগ করেন, দোনবাস অঞ্চলের পূর্বপ্রান্ত রুশ সেনার হাতে ধ্বংস হয়ে গিয়েছে। কাতারে কাতারে বোমাবর্ষণ করেছে তারা। হাস্যকৌতুক অভিনেতা থেকে রাষ্ট্রনায়ক হয়ে ওঠা জেলেনস্কিকে ওই ভিডিও বার্তায় বলতে শোনা যায়, “দোনবাসে হানাদাররা প্রবল চাপ তৈরি করছে। অঞ্চলটিকে নরকে পরিণত করেছে তারা। নিরীহ ইউক্রেনীয়দের হত্যার চেষ্টা করা হচ্ছে। ঘরবাড়ি, পরিকাঠামো ধ্বংস করছে হানাদাররা।”

এদিনই লুহানস্কের সেভেরডোনেৎস্ক শহরে ভয়াবহ বোমাবর্ষণ করে রাশিয়ার সেনা। বোমার আঘাতে কমপক্ষে ১২ জনের মৃত্যু হয়েছে। ওডেসা ও মধ্য ইউক্রেনের শহরগুলিতে লাগাতার হামলা চালিয়ে যাচ্ছে রুশ সেনাবাহিনী। প্রসঙ্গত, গত এপ্রিল মাসে জানা যায় যে ইউক্রেন যদি রাশিয়ার শর্তাবলি মেনে নেয় তাহলে সেদেশে ‘বিশেষ সামরিক অভিযান’ বন্ধ করবে পুতিন। জানা গিয়েছে, যুদ্ধ বন্ধ করার প্রধান শর্ত হল, ইউক্রেন কোনওভাবেই ন্যাটো গোষ্ঠীতে যেন যোগ না দেয়। তাছাড়া, অধিকৃত ক্রাইমিয়া অঞ্চলকে রাশিয়ার অংশ হিসেবে মেনে নিতে হবে। পাশাপাশি, জেলেনস্কি সরকারকে দোনবাসের ডোনেৎস্ক ও লুহানস্ক অঞ্চলকে স্বাধীন ঘোষণা করতে হবে।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

ভিডিও

আরও পড়ুন

Decorative Ring
Maa Ashchen