রাজ্যের লাগাতার আন্দোলনের সুফল, সর্বশিক্ষা অভিযানের বকেয়ার একাংশ দিল কেন্দ্র
তথ্য-পরিসংখ্যান বলছে, একুশের বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির হারের পর থেকেই মোদী সরকার কার্যত অঘোষিত রাজনৈতিক অবরোধ চালাচ্ছে বাংলার বিরুদ্ধে
Authored By:

তথ্য-পরিসংখ্যান বলছে, একুশের বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির হারের পর থেকেই মোদী সরকার কার্যত অঘোষিত রাজনৈতিক অবরোধ চালাচ্ছে বাংলার বিরুদ্ধে। কিন্তু রাজ্য সরকার, রাজ্যের শাসক দল এবং বাংলার মুখ্যমন্ত্রী লাগাতার আন্দোলের সুফল মিলল। কেন্দ্রের কাছে বকেয়া অর্থের একাংশ হাতে এল রাজ্যের। জানা গিয়েছে, ৯৫৫ কোটি টাকা এসেছে। সর্বশিক্ষা অভিযানের খরচ বাবদ ওই টাকা দেওয়া হয়েছে বলেই জানানো হয়েছে। প্রায় ৫ মাস পর ওই প্রকল্পের খাতে টাকা পেল বাংলা।
যদিও ১০০ দিনের কাজের বকেয়া টাকা নিয়ে কিছু বলা হয়নি। মাস তিনেক আগে দিল্লি সফরে গিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করে রাজ্যের প্রাপ্য বকেয়ার হিসেব দিয়েছিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বকেয়ার হিসেব প্রকাশ্যে আসার পর দেখা যায়, কেন্দ্রের প্রকল্পের টাকা বাবদই মোদী সরকারের কাছে বাংলার বকেয়া পাওনা প্রায় ৩৯,৩২২.৬০ কোটি টাকা। এছাড়াও প্রাকৃতিক দুর্যোগের জন্য বাংলা কেন্দ্রের কাছে ৬০,৬২৯.২৮ কোটি টাকা পাবে। পারফরম্যান্সের ভিত্তিতেও বাংলার অনুদান পাওয়ার কথা রয়েছে। সবমিলিয়ে বাংলার মোট প্রাপ্য ১ লক্ষ ৯৬৮.৪৪ কোটি টাকা। বকেয়া দ্রুত মিটিয়ে দেওয়ার জন্যে প্রধানমন্ত্রীর কাছে বারবার অনুরোধ করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। রাজ্যের দাবি ছিল, ১০০ দিনের কাজের বকেয়া টাকা মেটানো। শিক্ষা খাতে টাকা মিললেও, কেন্দ্রের বহু খাতের টাকা এখনও আটকে রয়েছে। ১০০ দিনের কাজের টাকা না মিললে মোদী সরকারের পঞ্চায়েত মন্ত্রী গিরিরাজ সিংয়ের সঙ্গে দেখা করতে পারেন রাজ্যের পঞ্চায়েত মন্ত্রী প্রদীপ মজুমদার।
এ রাজ্যের শাসক দলের বক্তব্য, এই ঘটনা রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিত। ১০০ দিনের কাজের টাকা আটকে রেখেছে মোদী সরকার। প্রথমে রাজ্য বিজেপি তরফে বলা হয়েছিল, টাকা দেবেন না৷ তাই টাকা আটকে রাখা হল। কেন্দ্র সরকারের রিপোর্ট বলছে বাংলা ১ নম্বর বাংলা। এটা দেখেই টাকা আটকানো হল। বাংলা এক নম্বরে থাকলে ভোট পাবে না, তাই রাজনৈতিক ফায়দা তুলতে টাকা আটকে দেওয়া হল।