অসংরক্ষিত শ্রেণিতে বাড়ছে যাত্রী, রেলে দালালরাজের জেরে কনফার্মড টিকিট না-মেলাই কি কারণ?
লিখিত জবাবে রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব এই পরিসংখ্যান উল্লেখ করে জানিয়েছেন, জেনারেল কোচের সংখ্যা বাড়ানো হচ্ছে।

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি, ১৭:২১: রেলে জাঁকিয়ে বসেছে দালালরাজ। হাজার চেষ্টা করেও ট্রেনের কনফার্মড টিকিট মেলে না! সেই কারণেই কি রেল যাত্রীরা অসংরক্ষিত শ্রেণির দিকে ঝুঁকছেন? রেলমন্ত্রকের তথ্যই এ প্রশ্ন তুলে দিয়েছে। গত পাঁচ বছরে সারা দেশে ট্রেনের অসংরক্ষিত শ্রেণিতে যাত্রী বেড়েছে প্রায় সাত গুণ! ২০২০-২১ অর্থ বছরে রেলের জেনারেল এবং অসংরক্ষিত শ্রেণিতে যাত্রী সংখ্যা ছিল প্রায় ৯৯ কোটি। ২০২৪-২৫ অর্থ বছরে তা বেড়ে হয়েছে প্রায় ৬৫১ কোটি।
বুধবার লোকসভায় এই বিষয়ে লিখিত প্রশ্ন করেন সমাজবাদী পার্টির সাংসদ দারোগাপ্রসাদ সরোজ। লিখিত জবাবে রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব এই পরিসংখ্যান উল্লেখ করে জানিয়েছেন, জেনারেল কোচের সংখ্যা বাড়ানো হচ্ছে। রেলমন্ত্রী জানিয়েছেন, ২০২৪-২৫ অর্থ বছরে দূরপাল্লার বিভিন্ন মেল ও এক্সপ্রেস ট্রেনে ১,২৫০টি জেনারেল কোচের বন্দোবস্ত করতে হয়েছে। আরও প্রায় ১৭ হাজার নন-এসি কোচের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। জেনারেল কোচ স্লিপার কামরাও রয়েছে এর মধ্যে।
সংরক্ষিত টিকিট না-পাওয়াই কি ট্রেনের জেনারেল কোচে ভিড় বাড়ার কারণ? রেলমন্ত্রক লিখিত জবাবে কিছুই উল্লেখ করেনি। সাম্প্রতিক একটি আরটিআইয়ের জবাবে ট্রেনের কনফার্মড টিকিট না পাওয়ার ছবি উঠে এসেছে। মধ্যপ্রদেশের বাসিন্দা চন্দ্রশেখর গৌড়ের আরটিআইয়ের জবাবে রেলমন্ত্রক জানিয়েছে, কনফার্মড না-হওয়ায় ২০২৩-২৪ অর্থ বছরে দেশে মোট ২ কোটি ৯৬ লক্ষ যাত্রীর টিকিট অটো ক্যানসেলড হয়েছে। ২০২৪-২৫ আর্থিক বছরে সংখ্যাটা বৃদ্ধি পেয়ে হয়েছে ৩ কোটি ৩২ লক্ষ।
রেলমন্ত্রী আরও জানান, এখন রেলের মোট ৮২,২০০টি কোচ রয়েছে। যার মধ্যে ৫৭,২০০টিই জেনারেল এবং স্লিপার (নন-এসি) কোচ। মোট কোচের ৭০ শতাংশই নন-এসি বা জেনারেল। এহেন কোচের ব্যবহার দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে, তাই ২২ কোচের মেল বা এক্সপ্রেস ট্রেনে ১২টি কোচই নন-এসি স্লিপার ও জেনারেল কোচ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রেলমন্ত্রক। আটটি এসি কোচ রাখা হবে।