বাণিজ্যচুক্তি করল চীন-আমেরিকা, এরপর কি ভারত? ট্রাম্পের মন্তব্যে জল্পনা
আমেরিকার বাণিজ্য সচিব হাওয়ার্ড লুটনিক মে মাসে জানিয়েছিলেন, খুব শীঘ্রই ভারত এবং আমেরিকার মধ্যে বাণিজ্যিক বোঝাপড়া হবে।

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি, ১৫:৪৫: মার্কিন প্রেসিডেন্ট জানিয়েছেন, সম্প্রতি চীনের সঙ্গে বাণিজ্যচুক্তি করেছে আমেরিকা। মার্কিন প্রেসিডেন্টের দাবি, এরপরই হয়ত ভারতের সঙ্গে বাণিজ্যচুক্তি করবে মার্কিন মুলুক। তবে ট্রাম্প জানিয়েছেন, সব দেশের সঙ্গে বাণিজ্যচুক্তি করবে না ওয়াশিংটন।
বৃহস্পতিবার হোয়াইট হাউসে বিগ বিউটিফুল ইভেন্টে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে ট্রাম্প জানান, বুধবার চীনের সঙ্গে বাণিজ্যচুক্তি করেছে আমেরিকা। যদিও বিস্তারে কিছু জানাননি তিনি। ট্রাম্পের মুখে ভারতের কথাও শোনা যায়। তিনি বলেন, “সবে মাত্র চীনের সঙ্গে (বাণিজ্য) চুক্তি করলাম। সবার সঙ্গে আমরা চুক্তি করব না। তবে কিছু দারুণ চুক্তি হবে। যেমন পরেরটাই হয়তো হবে ভারতের সঙ্গে। খুব বড় চুক্তি হবে সেটা।” ট্রাম্প আরও জানান, আধিকারিকেরা আরও বেশি দেশের সঙ্গে বাণিজ্যচুক্তি করতে চান। কিন্তু তিনি তেমনটা চান না। উল্লেখ্য, বাণিজ্যচুক্তি অনুযায়ী; চীনা পণ্যের উপর ৫৫ শতাংশ শুল্ক বসাবে আমেরিকা। মার্কিন পণ্যের উপর ১০ শতাংশ কর বসাবে বেজিং।
আমেরিকার বাণিজ্য সচিব হাওয়ার্ড লুটনিক মে মাসে জানিয়েছিলেন, খুব শীঘ্রই ভারত এবং আমেরিকার মধ্যে বাণিজ্যিক বোঝাপড়া হবে। বাণিজ্য ও শিল্পমন্ত্রী পীযূষ গোয়েল তার পর পর সময়েই দাবি করেন, দুই দেশের অর্থনীতিই লাভবান হয়, এমন দিকটি মাথায় রেখে স্বচ্ছ বাণিজ্যচুক্তি নিয়ে আমেরিকার সঙ্গে আলোচনা চলছে। ট্রাম্প ক্ষমতায় এসেই একাধিক দেশের উপর পারস্পরিক শুল্ক চাপিয়েছিলেন। ভারতীয় পণ্যে শুল্কের পরিমাণ ছিল ২৬ শতাংশ। ৯ এপ্রিল থেকে তা কার্যকর হওয়ার কথা থাকলেও বর্ধিত শুল্ক ৯০ দিনের জন্য স্থগিত করে দেয় আমেরিকা। স্থগিতাদেশের ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম ছিল চীন। উল্টে চীনের শুল্কের পরিমাণ বাড়িয়ে দেন ট্রাম্প। শুল্কের পরিমাণ বাড়িয়ে ১৪৫ শতাংশ করা হয়। পাল্টা চীন ১২৫ শতাংশ শুল্ক চাপায় মার্কিন পণ্যে। সহজ বাণিজ্যের পথ খুঁজতে দফায় দফায় বৈঠকে বসেন দুই দেশের আধিকারিকরা। গত চারদিন বন্ধ দরজার আড়ালে এই নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। সেই আলোচনা সফল হয়েছে বলেই চীনের সঙ্গেই চুক্তি সম্পন্ন হল। এবার কি ভারতের পালা? ট্রাম্পের কথায় সে ইঙ্গিতই মিলছে।