বাম আমলে ব্যাপক দুর্নীতি জলপাইগুড়ি জেলা পরিষদে, মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি

ওই চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে, জেলার ইউনিয়ন বোর্ড এবং ডিস্ট্রিক্ট বোর্ডের আওতায় এবং পরবর্তীকালে ওয়েস্টার্ন ডুয়ার্স মার্কেট ফান্ডের অধীনে প্রচুর জমি ও হাট ছিল।

September 8, 2021 | 2 min read
Published by: Drishti Bhongi

জলপাইগুড়ি জেলা পরিষদের হাজার হাজার বিঘা জমি নিয়ে চলেছে ব্যাপক দুর্নীতি। বাম আমল থেকে ভূমিদপ্তরের এক শ্রেণির আমলা, প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী থেকে শুরু করে বেশ কয়েকজন প্রভাবশালী এসবের সঙ্গে জড়িত। এমনই সমস্ত চাঞ্চল্যকর অভিযোগ তুলে মঙ্গলবার সরব হন জেলা পরিষদের সহ সভাধিপতি দুলাল দেবনাথ। এদিনই জেলা পরিষদের সভাধিপতি উত্তরা বর্মন ওই দুর্নীতির প্রসঙ্গ উল্লেখ করে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে একটি চিঠিও পাঠান। 


ওই চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে, জেলার ইউনিয়ন বোর্ড এবং ডিস্ট্রিক্ট বোর্ডের আওতায় এবং পরবর্তীকালে ওয়েস্টার্ন ডুয়ার্স মার্কেট ফান্ডের অধীনে প্রচুর জমি ও হাট ছিল। যেগুলির ভৌগোলিক অবস্থানের ভিত্তিতে ৩০টি হাট জলপাইগুড়ি জেলার জেলা পরিষদের অধীনে রয়েছে। যেখান থেকে জেলা পরিষদের খাজনা আদায় হতো। সেই টাকায় জেলা পরিষদ বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজ করতে পারত। কিন্তু, বামআমলে একশ্রেণির দুষ্টুচক্রের মাধ্যমে ওই জমি ও দোকান সমূহের একটা অংশ অবৈধ লেনদেনের মাধ্যমে হাতবদল হয়। যার ফলে মুষ্টিমেয় কয়েকজন প্রভাবশালী এর থেকে উপকৃত হয়েছে ও হচ্ছে। এতে কমেছে খাজনা আদায়। কমেছে জেলা পরিষদের আয়ও। সম্প্রতি  হওয়া সাধারণ সভার অনুমোদনক্রমে বন ও ভূমি স্থায়ী সমিতির সিদ্ধান্তের কথাও জেলা সভাধিপতি মুখ্যমন্ত্রীকে পাঠানো চিঠিতে উল্লেখ করেছেন। জেলা পরিষদের জমি রক্ষণাবেক্ষণ ও পুনরুদ্ধার, খাজনা আদায়, যাঁরা খাজনা দেন না তাঁদের কাছ থেকে জমি ফেরত নেওয়া, অবৈধভাবে জমি দখলকারীদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থার কথা লিখেছেন। এ ব্যাপারে মুখ্যমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ চাওয়া হয়েছে। 


এদিকে জেলা পরিষদের সহ সভাধিপতি দুলাল দেবনাথ জানান, ইতিমধ্যে মালবাজার, ধূপগুড়ি, ময়নাগুড়িতে পুলিসের কাছে এ ব্যাপারে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। তিনি ময়নাগুড়ির এক ব্যবসায়ীর কথা উল্লেখ করে জানান, ৯৩ বিঘা জমি ওই ব্যবসায়ী দখল করে রেখেছেন। শুধু তাই নয়, জুট কর্পোরেশনকে জেলা পরিষদের সেই জমি ভাড়া দিয়েছেন। একইসঙ্গে দুলালবাবু জানিয়েছেন, জেলা পরিষদ আজ, বুধবার থেকে জেলার পাঁচটি ব্লকে দফায় দফায় দুয়ারে সরকারের মতো ক্যাম্প করবে। যেখানে সরকারি আধিকারিকরা উপস্থিত থেকে হাট সংক্রান্ত নানা বিষয়ে মানুষকে বলতে পারবেন। মানুষের মতামত শুনবেন। খাজনা আদায়, জেলা পরিষদের জমি সংক্রান্ত অভিযোগ শোনা ইত্যাদি কাজগুলিও সেখানে হবে। এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট এলাকায় মাইকিং শুরু হয়েছে। 

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

ভিডিও

আরও পড়ুন

Decorative Ring
Maa Ashchen