বিতর্কিত ইশিত ভাটের পাশে দাঁড়ালেন বরুণ চক্রবর্তী, ট্রোলারদের দিলেন কড়া বার্তা

October 16, 2025 | 2 min read
Published by: Ritam

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি, ১২:৪৮: ভারতীয় ডিজিটাল দুনিয়া যতটা সংযোগ গড়ে তোলে, ততটাই কখনও কখনও নিষ্ঠুরও হয়ে ওঠে। তার জ্বলন্ত উদাহরণ হয়ে উঠেছে গুজরাটের গান্ধীনগরের পঞ্চম শ্রেণির ছাত্র ইশিত ভাট। সম্প্রতি তিনি জনপ্রিয় কুইজ শো Kaun Banega Crorepati-এর ১৭তম সিজনে হাজির হন। সঞ্চালক অমিতাভ বচ্চনের সঙ্গে হট সিটে বসে ছোট্ট এই প্রতিযোগীর আত্মবিশ্বাসী ব্যবহার মুহূর্তে ভাইরাল হয়ে যায়। কিন্তু সেই ভাইরাল হওয়ার আনন্দ ছিল না — বরং তা পরিণত হয় নির্মম ট্রোলিংয়ের ঝড়ে।

শোতে ইশিতের কিছু সংলাপ বিশেষভাবে নেটপাড়ায় ছড়িয়ে পড়ে। “মেরে কো রুলস পতা হ্যায় ইসিলিয়ে আাপ মেরে কো রুলস সমঝানে মত বৈঠনা,” এই উক্তিটিই অনেকের কাছে “অভদ্র” বা “অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাস” হিসেবে ধরা পড়ে। আবার তিনি বলেছিলেন, “আররে অপশন ডালো,” আর উত্তর লক করার সময় বলেন, “সির্ফ এক কেয়া, উস মেঁ চার লক লাগাদো।” রামায়ণ সংক্রান্ত একটি প্রশ্নে তিনি ভুল উত্তর দেওয়ার পর কোনো পুরস্কার না নিয়েই বাড়ি ফেরেন। প্রশ্নটি ছিল — “বাল্মীকি রামায়ণের প্রথম কাণ্ডের নাম কী?” সঠিক উত্তর ছিল ‘বালকাণ্ড’, কিন্তু ইশিত বেছে নেন ‘অযোধ্যাকাণ্ড’।

এই ঘটনার পরেই শুরু হয় কটাক্ষের বন্যা। একজন অপ্রাপ্তবয়স্ক শিশুকে যেভাবে সামাজিক মাধ্যমে আক্রমণের মুখে পড়তে হয়েছে, তাতে অনেকেই উদ্বেগ প্রকাশ করেন। এই সমালোচনার বিরুদ্ধে সরব হন ভারতীয় দলের স্পিনার বরুণ চক্রবর্তী। তিনি এক্স-এ লেখেন, “এই ঘটনা প্রমাণ করে সোশ্যাল মিডিয়া এখন কাপুরুষদের আখড়া হয়ে উঠেছে। সে তো একটা বাচ্চা! ওকে বেড়ে উঠতে দাও।”

এদিকে, ইশিতের আচরণ নিয়ে কেউ কেউ প্রশ্ন তুললেও, দর্শকের বড় অংশ প্রশংসা করেছেন অমিতাভ বচ্চনের ধৈর্যের। ইশিতের অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাসী সুরের পরও তিনি শান্তভাবে উত্তর দেন, “কভি কভি বাচ্চে ওভার কনফিডেন্স মে গলতি কর দেতে হ্যায়।” এই সংযমী প্রতিক্রিয়া সামাজিক মাধ্যমে প্রশংসিত হয়েছে।

এই ঘটনা একদিকে যেমন দেখিয়ে দিল, বাস্তবতা শো-র মঞ্চে শিশুদের ওপর কতটা চাপ তৈরি হয়, তেমনি তুলে ধরল সোশ্যাল মিডিয়ার ভয়ঙ্কর দিক যেখানে একজন শিশুও ট্রোলিংয়ের হাত থেকে রেহাই পায় না।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

ভিডিও

আরও পড়ুন

Decorative Ring
Maa Ashchen