ট্রাম্পকেই নোবেল পুরস্কার উৎসর্গ করলেন মাচাদো, কেন?

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি, ৯.৪০: নোবেল শান্তি পুরস্কার ২০২৫ জিতেছেন ভেনেজুয়েলার বিরোধী নেত্রী মারিয়া করিনা মাচাদো। আর পুরস্কার জয়ের পরেই এক আবেগঘন বার্তায় তিনি সেই সম্মান উৎসর্গ করলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে। মারিয়াকে নোবেল কমিটি শান্তি পুরস্কারের জন্য বেছে নিয়েছে মূলত একনায়কতন্ত্র থেকে ভেনেজুয়েলায় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় অনুদানের জন্য। মারিয়া নিজেই বলছেন, তাঁর এই লড়াইয়ে তিনি সর্বতভাবে পাশে পেয়েছেন ট্রাম্পকে।
চলতি বছর নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য ৩৩৮টি মনোনয়ন জমা পড়েছিল। তার মধ্যে ৯৪টি সংগঠনের সম্মাননার জন্য। মনোনয়নের তালিকায় ছিল আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নাম। শেষ পর্যন্ত ভেনেজ়ুয়েলার বিরোধী দলনেত্রী মারিয়াকেই এ বছর নোবেল শান্তি পুরস্কার দিচ্ছে নোবেল কমিটি। কেন তাঁকে নোবেল শান্তি পুরস্কার দেওয়া হচ্ছে তার ব্যাখ্যাও দেওয়া হয়েছে। কমিটির চেয়ারম্যান জর্জেন ওয়াটনে ফ্রাইডনেস জানান, ভেনেজ়ুয়েলার বিরোধীদল এক কালে দ্বিধাবিভক্ত ছিল। তাদের একত্রিত করার কৃতিত্ব মারিয়ার। বিরোধীদলগুলিকে একত্রিত করে অবাধ নির্বাচন এবং প্রতিনিধিত্বমূলক সরকারের দাবি তুলে ধরেছেন তিনি। তাঁর এই কৃতিত্বকে সম্মান জানাতেই তাঁকে শান্তি পুরস্কার দেওয়া হচ্ছে বলে জানায় নোবেল কমিটি।
গত বছর ভেনেজুয়েলায় ভোটের সময় কারচুপির অভিযোগ উঠেছিল। সে সময় দেশের প্রেসিডেন্ট পদে ছিলেন নিকোলাস মাদুরো। ২০১৩ সাল থেকে ভেনেজ়ুয়েলার প্রেসিডেন্ট পদে রয়েছেন তিনি। যদিও তাঁকে রাষ্ট্রপ্রধান হিসাবে মানতে নারাজ ওয়াশিংটন। আমেরিকার অভিযোগ, অন্যায় ভাবে কারাকাসের কুর্সি দখল করে রেখেছেন নিকোলাস। তাঁর আমলে সাম্প্রতিক সময়ে বার বার ভেনেজ়ুয়েলায় হামলা চালিয়েছে মার্কিন সেনা। আর তা সবটাই যে হয়েছে ট্রাম্পের ইশারায়, তা বলা বাহুল্য।
ট্রাম্পের কাছে এ বছর ছিল বড় আশার। দীর্ঘদিন ধরে তিনি নিজেকে নোবেল শান্তি পুরস্কারের দাবিদার বলে দাবি করে আসছিলেন। যুক্তি দিয়েছিলেন— তিনি “আটটি যুদ্ধ থামিয়েছেন” এবং গাজা শান্তি প্রক্রিয়ায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত নোবেল কমিটি বেছে নেয় মাচাদোকে। তবু রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, ট্রাম্পের ভাবমূর্তি এতে ক্ষুণ্ণ হয়নি। বরং মাচাদোর মতো আন্তর্জাতিক ব্যক্তিত্বের কাছ থেকে প্রকাশ্যে স্বীকৃতি পাওয়ায় তাঁর অবস্থান আরও মজবুত হয়েছে।