করোনা আবহেও অপুকে শেষ বিদায় অগণিত ভক্তের
ফিল্মে অভিনয়ের সুবাদে যশ, খ্যাতি, আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি- পেয়েছেন অনেক। প্রাপ্তির ভরা ঝুলি নিয়েই নাটকের মঞ্চে লিয়রের মুকুট পরেছিলেন সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়।

শিল্পী হিসেবে যে আকাশছোঁয়া সম্মান আর সাগরছেঁচা ভালবাসা তিনি পেয়েছেন, বাংলার মানুষই তাঁকে তা দিয়েছে। বেঁচে থাকতে বারবার বলতেন সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় (Soumitra Chatterjee)। বিদায়বেলাতেও তিনি হয়ে উঠলেন মানুষের সৌমিত্র।

অভিনেতাকে শেষ বিদায় জানাতে ভক্তদের ঢল নামল রবীন্দ্রসদন চত্বরে। হাতে সৌমিত্রর ছবির কাটআউট নিয়ে ভিড় করলেন বহু মানুষ।

প্রিয় শিল্পীর মৃত্যুর খবর পেতেই বহু উদ্বেল মানুষ ঘরের নিশ্চিন্ত আশ্রয় ছেড়ে বেরিয়ে পড়েন।

হয়তো এমন সব গুণমুগ্ধদের জন্যই রাজা লিয়রের মুকুট মাথায় তুলে নেন তিনি। ফিল্মে অভিনয়ের সুবাদে যশ, খ্যাতি, আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি- পেয়েছেন অনেক। প্রাপ্তির ভরা ঝুলি নিয়েই নাটকের মঞ্চে লিয়রের মুকুট পরেছিলেন সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়।

রাজ্যপাট থাকতে সত্যের আলো দেখতে পাননি কিং লিয়র। দেখেছিলেন সব হারিয়ে। লিয়রের চরিত্রে ঢুকে তাই প্রাপ্তির মুঠো খুলে দেন এই কিংবদন্তী। বলেছিলেন, সাধারণ দর্শকদের প্রতি এ হল তাঁর কৃতজ্ঞতা, কারণ তাঁরাই হলেন শিল্পীর নির্মাতা।

শিল্পী চলে গেলেও সিলভার স্ক্রিনে রেখে গেলেন সুখ-দুঃখ, আনন্দ-বিরহের মুহূর্ত।

সত্যিই! মহামারীর বিষপ্রহরের মধ্যেও যেন ভালবাসার আবোল তাবোল সঙ্গে করে নিয়ে গেলেন তিনি।

এ দিন বিদায়বেলায় শ্মশান পর্যন্ত হাঁটলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও (Mamata Banerjee)।