রামমন্দির আন্দোলন স্বাধীনতার লড়াইয়ের চেয়েও বড়! ভিএইচপি নেতার মন্তব্যে বিতর্ক

প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালে সুপ্রিম কোর্ট রায় দেয়, বিতর্কিত জমিতে তৈরি হবে রাম মন্দিরই। সেই সঙ্গে বিকল্প জমিতে মসজিদ তৈরি করারও নির্দেশ দিতে দেখা যায় শীর্ষ আদালতকে।

December 14, 2021 | 2 min read
Published by: Drishti Bhongi

স্বাধীনতা আন্দোলনের চেয়েও বড় রাম মন্দির আন্দোলন! বিশ্ব হিন্দু পরিষদের (Vishwa Hindu Parishad) যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সুরেন্দ্র জৈনের (Surendra Jain) এমনই মন্তব্যের জেরে ঘনিয়েছে বিতর্ক। তাঁর মতে, ১৯৪৭ সালে দেশ স্বাধীনতা পেয়েছিল। কিন্তু রাম মন্দির (Ram Mandir) আন্দোলনের মধ্যে দিয়েই ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক স্বাধীনতা এসেছে। ইতিমধ্যেই কংগ্রেস-সহ বহু বিরোধী দলকে এই মন্তব্যের বিরোধিতা করতে দেখা গিয়েছে।

ঠিক কী বলেছিলেন সুরেন্দ্র জৈন? তাঁর একটি বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ”১৯৪৭ সালে দেশ রাজনৈতিক স্বাধীনতা পেয়েছিল। কিন্তু রাম মন্দির আন্দোলনের মধ্যে দিয়েই ভারত ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক স্বাধীনতা অর্জন করেছে।” সেই সঙ্গে তাঁর দাবি, রাম মন্দির নির্মাণের পথ ধরেই রামরাজ্য হওয়ার দিকে এগোচ্ছে দেশ। এই আন্দোলন দেশের স্বাধীনতা আন্দোলনের চেয়েও বড় বলেও মন্তব্য তাঁর।

তাঁর মতে, এই যুগ রামের। রাম মন্দির নির্মিত হয়ে গেলে দেশের ভবিষ্যৎ আরও মজবুত হবে। মন্দিরের তহবিল গড়তে যে দান অভিযান হয়েছিল, তা গোটা দেশকে এক সূত্রে বেঁধেছে বলেও জানিয়েছেন তিনি। যা থেকে প্রমাণিত, রামই দেশকে একজোট করতে পারেন। ধর্ম নিরপেক্ষ রাজনীতি কেবল দেশকে বিভাজিতই করেছে বলে মত সুরেন্দ্রর।

স্বাভাবিক ভাবেই এমন মন্তব্যকে ঘিরে বিতর্ক তুঙ্গে। কংগ্রেসের মতো বিরোধী দলগুলির মতে, যেহেতু স্বাধীনতা আন্দোলনে সঙ্ঘ পরিবারের কোনও ভূমিকা ছিল না তাই সেই আন্দোলনের চেয়ে রাম মন্দির প্রসঙ্গকে এগিয়ে রেখে এগোতে চাইছে গেরুয়া শিবির।

এদিকে ‘সব কে রাম’ নামের এক বইয়ের উদ্বোধন করতে গিয়ে বিশ্ব হিন্দু পরিষদের যুগ্ম মহাসচিব অরুণ কুমারও একই সুরে জানিয়েছেন, রাম মন্দির আন্দোলন হিন্দু সমাজকে জাগিয়ে তুলেছে। হিন্দুদের আত্মোপলব্ধির আন্দোলন হয়ে উঠেছে এই আন্দোলন।

প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালে সুপ্রিম কোর্ট রায় দেয়, বিতর্কিত জমিতে তৈরি হবে রাম মন্দিরই। সেই সঙ্গে বিকল্প জমিতে মসজিদ তৈরি করারও নির্দেশ দিতে দেখা যায় শীর্ষ আদালতকে।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

ভিডিও

আরও পড়ুন

Decorative Ring
Maa Ashchen