করোনায় আক্রান্ত লাহুল স্পিতি উপত্যকার থোরাং গ্রাম

সম্প্রতি গ্রামে একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল। সেখানে একত্রিত হয়েছিলেন গ্রামের সবাই। মানালি-লে জাতীয় সড়কের কাছে অবস্থিত থোরাং গ্রামের বাসিন্দা মাত্র ৪২ জন।

November 22, 2020 | 2 min read
Published by: Drishti Bhongi

বরফে ঢাকা পাহাড় চূড়া। আবার কোথাও তুষারাবৃত উপত্যকা। তার সঙ্গে বাড়তি পাওনা সোনালি রোদের ছটা। হিমাচল প্রদেশের (Himachal Pradesh) লাহুল (lahaul) স্পিতি মানেই পর্যটকদের কাছে সুইজারল্যান্ড। করোনা নিয়ে শিথিলতা উঠে যেতেই ব্যাগ গুছিয়ে বেড়িয়ে পড়েছেন পর্যটকরা। উদ্দেশ্য তুষারপাতের আনন্দ উপভোগ। লাহুল স্পিতি উপত্যকার ছোট্ট গ্রামের নাম থোরাং। বছরভর পর্যটকদের আনাগোনা লেগেই থাকে এই গ্রামে। কিন্তু দুঃখের কথা একটাই। এই গ্রামে ৫২ বছরের ভূষণ ঠাকুর ছাড়া সবাই করোনা পজিটিভ। গত ৩০ জুন এই গ্রামে প্রথম থাবা বসায় করোনা। তারপর কেটে গিয়েছে চারটি মাস। আচমকাই ওই গ্রামের একজন বাদে সবাই করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। এখন প্রশ্ন হল কীভাবে? কান পাতলেই শোনা যাচ্ছে, সম্প্রতি গ্রামে একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল। সেখানে একত্রিত হয়েছিলেন গ্রামের সবাই। মানালি-লে জাতীয় সড়কের কাছে অবস্থিত থোরাং গ্রামের বাসিন্দা মাত্র ৪২ জন।

ওই অনুষ্ঠানের পর অনেকের করোনার বিভিন্ন উপসর্গ দেখা যায়। তারপর স্থানীয় স্বাস্থ্যকেন্দ্রের উদ্যোগে সবার করোনা টেস্ট (Corona Test) হয়। তাতে সবাই রাজি হয়ে যান। এরপর দেখা যায়, ৪২ জনের মধ্যে ৪১ জনেরই করোনা পজিটিভ (Covid 19)। স্থানীয় প্রশাসন জানিয়েছে, গোষ্ঠী সংক্রমণের কারণেই গোটা গ্রামের মানুষ করোনায় আক্রান্ত। গ্রামের একমাত্র করোনা নেগেটিভ ভূষণ ঠাকুর বলেন, ‘আমি আপাতত পৃথক একটি ঘরে রয়েছি। নিজেই রান্না করে খাচ্ছি। সেইসঙ্গে স্যানিটাইজ, মাস্ক পরার মতো কোভিডের সমস্ত বিধি মেনেই আমার দিন কাটছে।’ পাশাপাশি আক্রান্তদের হোম আইসোলেশনে থাকতে বলা হয়েছে। এদিকে ওই গ্রামে যাতে কোনও পর্যটক না আসেন, তার জন্য নিষেধাজ্ঞা জারি হয়েছে। রোটাং টানেলের পর ওই এলাকা পুরো কন্টেইনমেন্ট জোন (Containment zone) করে দিয়েছে প্রশাসন। লাহুল স্পিতির মেডিক্যাল অফিসার ডাক্তার পালজোর বলেন, ওই গ্রামে সবারই করোনা হওয়ার বিষয়টি উদ্বেগজনক। চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীরা নিয়মিতভাবে ওই গ্রামে যাচ্ছেন। সবার খোঁজখবর রাখছেন।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

ভিডিও

আরও পড়ুন

Decorative Ring
Maa Ashchen