কেন্দ্রের সাথে মতের অমিল, ইস্তফা শীর্ষ ভাইরোলজিস্টের

সংক্রমণের ক্ষমতা নিয়ে সরকারকে সচেতন করার জন্য গত ডিসেম্বরে বিশেষজ্ঞ প্যানেল গড়া হয়।

May 17, 2021 | 2 min read
Published by: Drishti Bhongi

সারা দেশে কোভিড সংক্রমিতের সংখ্যা গত ২৪ ঘণ্টায় সামান্য কমলেও মৃত্যু ফের চার হাজারের উপরেই রইল। লকডাউনের মেয়াদ বাড়ানোর পথেই হাঁটল দিল্লি-সহ একাধিক রাজ্য। এ দিকে, গ্রামীণ, আধা-শহর এবং জনজাতি অধ্যুষিত এলাকায় সংক্রমণ রুখতে সবিস্তার আচরণবিধি প্রকাশ করল কেন্দ্র।

ইতিমধ্যে বিতর্ক তৈরি হয়েছে সরকারি উপদেষ্টা প্যানেল থেকে এক ভাইরোলজিস্টের ইস্তফায়। সার্স-কোভ-২ ভাইরাসের নতুন প্রজাতি ও তাদের সংক্রমণের ক্ষমতা নিয়ে সরকারকে সচেতন করার জন্য গত ডিসেম্বরে বিশেষজ্ঞ প্যানেল গড়া হয়। ‘ইন্ডিয়ান সার্স-কোভ-২ জেনেটিক্স কনসর্টিয়াম’ (ইনসাকগ) নামে সেই প্যানেলের একাধিক বিজ্ঞানী সংবাদ সংস্থা রয়টার্সকে জানিয়েছিলেন, করোনার অতি-সংক্রামক বি.১.৬১৭ প্রজাতিটির বিষয়ে সরকারকে তাঁরা মার্চেই সতর্ক করেছিলেন। প্যানেলের চেয়ারম্যান শাহিদ জামিল উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেছিলেন যে, সরকার এই হুঁশিয়ারিকে যথেষ্ট গুরুত্ব দেয়নি। জামিল আচমকা ওই প্যানেল থেকে ইস্তফা দিয়েছেন। প্রশ্ন উঠেছে, সরকারের সঙ্গে মতবিরোধের জেরে এই ইস্তফা? জামিল কোনও কারণ জানাতে অস্বীকার করেছেন।

গত কালের পর্যালোচনা বৈঠকে গ্রামীণ ভারতে সংক্রমণ রোখার উপরে বিশেষ জোর দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। গ্রাম, আধা-শহর ও জনজাতি অধ্যুষিত অঞ্চলগুলিতে কোভিড রোখা নিয়ে আজ কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক একটি নতুন আচরণবিধি প্রকাশ করেছে। এ নিয়ে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যসচিব রাজেশ ভূষণ এবং নীতি আয়োগের সদস্য (স্বাস্থ্য) বিনোদ পল আজ রাজ্যগুলির সঙ্গে ভিডিয়ো বৈঠকও করেছেন। নয়া নির্দেশিকায় স্বাস্থ্য মন্ত্রক জানিয়েছে, গ্রামাঞ্চলে প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র, ওয়েলনেস সেন্টারের মতো কেন্দ্রগুলিতে র‌্যাপিড অ্যান্টিজেন পরীক্ষার কিট রাখতে হবে। কোমর্বিডিটি-সহ উপসর্গহীন রোগী বা মৃদু উপসর্গের রোগীদের বাড়িতে নিভৃতবাসে রাখা সম্ভব না-হলে স্কুল, বিয়েবাড়ি বা কমিউনিটি হলের মতো জায়গায় তাঁদের রাখার জন্য অন্তত ৩০ শয্যার কোভিড কেয়ার সেন্টার তৈরি করতে হবে। জেলা বা ব্লক স্তরের হাসপাতালকে কোভিড হাসপাতালে পরিণত করে সেখানে তীব্র উপসর্গের রোগীদের চিকিৎসা করতে হবে।

এ ছাড়া বলা হয়েছে, ইনফ্লুয়েঞ্জার মতো অসুস্থতা বা তীব্র শ্বাসকষ্ট (‘সারি’) কারও রয়েছে কি না, গ্রামীণ পুষ্টি ও নিকাশি সংক্রান্ত কমিটির সাহায্যে আশা কর্মীদের মাধ্যমে তার নজরদারি করতে হবে। কারও উপসর্গ থাকলে কমিউনিটি হেলথ অফিসারেরা ফোনে পরামর্শ দিতে পারেন। তবে অক্সিজেনের ঘনত্ব কম বা কোমর্বিডিটি থাকলে হাসপাতালে পাঠাতে হবে। প্রত্যেক গ্রামে যাতে যথেষ্ট সংখ্যক পালস অক্সিমিটার এবং থার্মোমিটার থাকে, তাতে জোর দিয়েছে কেন্দ্র। অ্যাক্টিভ রোগীদের কাছে ‘হোম আইসোলেশন কিট’ পৌঁছে দিতে বলা হয়েছে, যাতে থাকবে প্যারাসিটামল, আইভারমেকটিন, কাশির সিরাপ, মাল্টিভিটামিনের মতো ওষুধ এবং লিখিত পরামর্শ। আগামী সোমবার পর্যন্ত লকডাউন বাড়ানো হচ্ছে দিল্লিতে। পঞ্জাবে মে মাস জুড়ে কড়াকড়ি থাকবে। ২৪ তারিখ পর্যন্ত লকডাউন বাড়িয়েছে হরিয়ানা। লকডাউন বেড়েছে লাদাখেও।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

ভিডিও

আরও পড়ুন

Decorative Ring
Maa Ashchen