৫০ মিটারে নেমেছে দৃশ্যমানতা, বাতিল ১১৮ বিমান, ঘন কুয়াশায় থমকে রাজধানী দিল্লি
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি, ১৪:০০: দেশের রাজধানী দিল্লি কার্যত আজ কুয়াশা ও দূষণের যুগল আক্রমণে বিপর্যস্ত। ভোরের পর থেকেই ঘন কুয়াশার দাপটে থমকে গিয়েছে স্বাভাবিক জনজীবন। দৃশ্যমানতা নেমে এসেছে বিপজ্জনক মাত্রায়, যার সরাসরি প্রভাব পড়েছে বিমান, রেল এবং সড়ক যোগাযোগে। পরিস্থিতির গুরুত্ব বিবেচনা করে আবহাওয়া দপ্তর জারি করেছে লাল সতর্কতা।
মঙ্গলবার সকালে দিল্লির ইন্দিরা গান্ধী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে দৃশ্যমানতা ছিল মাত্র ৫০ মিটার, যা কিছুটা বাড়লেও সকাল ৯টা নাগাদ ১০০ মিটারের বেশি হয়নি। এর জেরে ১৬টি বিমানের রুট বদলানো হয়েছে এবং ১১৮টি বিমান পরিষেবা বাতিল করা হয়েছে। পাশাপাশি সময়সূচি পরিবর্তন করা হয়েছে প্রায় ১৩০০টি উড়ানের। রেল পরিষেবাও মারাত্মকভাবে ব্যাহত—১০০টির বেশি দূরপাল্লার ট্রেন নির্ধারিত সময়ের অনেক পরে চলছে।
পরিস্থিতি আরও উদ্বেগজনক করেছে বায়ুদূষণ। কেন্দ্রীয় দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের রিপোর্ট অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় দিল্লির গড় একিউআই ছিল ৪০১, যা ‘অত্যন্ত খারাপ’ শ্রেণিভুক্ত। মঙ্গলবার শহরের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং সর্বোচ্চ ২০ ডিগ্রি।
মৌসম ভবনের পূর্বাভাস অনুযায়ী, দিল্লি-সহ উত্তর ভারতের বিস্তীর্ণ এলাকায় আগামী কয়েক দিন ঘন কুয়াশা বজায় থাকবে। হিমাচল প্রদেশ, পঞ্জাব, হরিয়ানা, চণ্ডীগড় ও উত্তরপ্রদেশে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত কুয়াশার দাপট চলবে। নয়ডাতেও দৃশ্যমানতা মারাত্মকভাবে কমে যাওয়ায় ২৯ ডিসেম্বর থেকে ১ জানুয়ারি পর্যন্ত সমস্ত স্কুল বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
এই পরিস্থিতিতে প্রশাসনের তরফে প্রয়োজন ছাড়া সকালে বাইরে না বেরোনো, গাড়ি চালানোর সময় ফগ লাইট ব্যবহার এবং অতিরিক্ত সতর্কতা অবলম্বনের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। ঘন কুয়াশা ও দূষণের এই জোড়া সংকট আপাতত রাজধানীর বাসিন্দাদের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ হয়েই রয়ে গেল।