পাখিদের কোলাহলে সময় কাটাতে ঘুরে আসুন কুলিক
এরকমই তথ্য উঠে এসেছে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের বন দফতরের করা একটি সমীক্ষায়।
অতীতের সব রেকর্ড প্রতিবছর ভেঙ্গে দেয় রায়গঞ্জের কুলিক পক্ষীনিবাসে পরিযায়ী পাখির আগমন। গত বছর প্রায় এক লক্ষ পরিযায়ী পাখি এই পক্ষীনিবাসে এসেছিল। এরকমই তথ্য উঠে এসেছে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের বন দফতরের করা একটি সমীক্ষায়।
এশিয়ার মধ্যে কুলিকই একমাত্র জায়গা যেখানে সব থেকে বেশি সংখ্যক ওপেন বিল স্টর্কের দেখা পাওয়া যায়। এ ছাড়াও নাইট হেরন, লিটল ইগ্রেটস ও করমোরেন্টের দেখাও মিলবে এই কুলিকে। সাধারণত জুন থেকে নভেম্বরের মধ্যেই সব থেকে বেশি পাখি আসে এই বার্ড স্যাঞ্চুয়ারিটিতে। পক্ষীনিবাসের পাশ দিয়েই বয়ে চলেছে কুলিক নদী।
সাধারণত মোট ১৬৪ রকমের পাখির দেখা মেলে কুলিকে। এই পাখির আগমনের মধ্যে দিয়েই প্রতি বছর পুজোর মরশুমে পর্যটকের আনাগোনা হয় এখানে।
নদী, পাখি, জঙ্গল, নিরালা সবটার স্বাদই একসাথে পাবেন এখানে। পাখি প্রেমী, ওয়াইল্ড লাইফ ফটোগ্রাফারদের জন্যে এক কথায় স্বর্গ। খুব কম বাজেটেই উপভোগ করতে পারবেন এই নৈস্বরগিক শোভা।

কী ভাবে যাবেন?
কলকাতা থেকে রায়গঞ্জ যাওয়ার জন্য রয়েছে কলকাতা-রাধিকাপুর এক্সপ্রেস। ট্রেনটি প্রতিদিন সন্ধ্যা সাড়ে সাতটায় কলকাতা থেকে ছেড়ে পরের দিন ভোর সাড়ে পাঁচটায় রায়গঞ্জ পৌঁছয়। এ ছাড়া কলকাতা থেকে নিয়মিত বাস যায় রায়গঞ্জের উদ্দেশ্যে।
কোথায় থাকবেন?
রায়গঞ্জ শহরে থাকার জন্য বেশকিছু বেসরকারি হোটেল রয়েছে। কিন্তু কুলিক পক্ষীনিবাসের কাছেই রয়েছে পশ্চিমবঙ্গ পর্যটন উন্নয়ন নিগমের রায়গঞ্জ টুরিস্ট লজ। শহুরে কোলাহলের থেকে বাইরে এবং কুলিক নদীর ধারে হওয়ায়, রাত কাটানোর জন্য এই টুরিস্ট লজ বেশ ভালো। অনলাইনে বুক করার জন্য লগ ইন করুন www.wbtdcl.com