ধারাবাহিক আন্দোলনের জের? বুধবার সন্ধ্যায় ভাঙা হল বিশ্বভারতীর বিতর্কিত ফলক

বিশ্ববিদ্যালয়ের ইঞ্জিনিয়ারিং ও সম্পত্তি বিভাগ বুধবার সন্ধ্যায় ফলক ভাঙার কাজ শুরু করে

December 7, 2023 | 2 min read
Published by: Drishti Bhongi

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: বিশ্বভারতীর হেরিটেজ স্বীকৃতির ফলকে ছিল না রবি ঠাকুরের নাম, যা ঘিরে চরমে উঠেছিল বিতর্ক। আন্দোলন চলে, আশ্রমিক থেকে শুরু করে প্রাক্তনীরা সকলেই সরব হয়েছিলেন। অবশেষে সেই বিতর্কিত ফলক ভাঙল বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। বিশ্ববিদ্যালয়ের ইঞ্জিনিয়ারিং ও সম্পত্তি বিভাগ বুধবার সন্ধ্যায় ফলক ভাঙার কাজ শুরু করে।

গত ১৭ সেপ্টেম্বর শান্তিনিকেতন ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইটের স্বীকৃতি পায়। তদানিন্তন সময়ের উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর নির্দেশে শান্তিনিকেতনের উপাসনা গৃহ ও রবীন্দ্রভবনের সামনে শ্বেতপাথরের দু’টি ফলক বসানো হয়। ‌ফলকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর নাম থাকলেও কবিগুরুর নাম ব্রাত্য রাখা হয়। বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর এহেন কাজে রবীন্দ্র অনুরাগীরা ক্ষুব্ধ হন। রবি ঠাকুরের অবমাননার বিরুদ্ধে মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব আন্দোলন শুরু করে। ১৪ দিন ধরে সেই আন্দোলন চলে, বিদ্যুৎবাবুর অবসরের পরে শাসক দল তা তুলে নেয়।

নতুন ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য সঞ্জয়কুমার মল্লিককে ফলক সরানোর নির্দেশ দেয় কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রক। নির্দেশ বলা হয়, বুধবার রাত ৮টার মধ্যে নির্দেশ কার্যকর করতে হবে। এরপরই ফলক ভাঙার প্রক্রিয়া শুরু হয়। ওই দুই জায়গায় আপাতত অস্থায়ী ফলক বসিয়ে দেওয়া হয়েছে। নয়া ফলকে ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইটের স্বীকৃতির বিষয়টি বাংলা, হিন্দি ও ইংরেজি; তিন ভাষায় লেখা রয়েছে। নতুন ফলকে রবীন্দ্রনাথের নামও সংযোজিত হয়েছে। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের অবদানের কথাও উল্লেখ করা হয়েছে। তবে ফলকটি অস্থায়ীভাবে বসানো হয়েছে। নতুন ফলকের নির্মাণ প্রক্রিয়া চলছে। তা সম্পূর্ণ হলে, উপাসনা গৃহ ও রবীন্দ্র ভবনের সামনে প্রতিস্থাপন করা হবে বলেই জানা গিয়েছে।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

ভিডিও

আরও পড়ুন

Decorative Ring
Maa Ashchen