আন্দোলনরত পড়ুয়াদের ‘মাওবাদী’ আখ্যা, ফের বিতর্কে বিশ্বভারতীর উপাচার্য

এনিয়েই প্রশ্ন উঠেছে, কী করে একজন উপাচার্য ছাত্রছাত্রীদের মাওবাদী তকমা দেন?

June 18, 2021 | 2 min read
Published by: Drishti Bhongi

বিতর্ক যেন থামতেই চাইছে না বিশ্বভারতীতে। অনলাইন বৈঠকে আন্দোলনরত তিন পড়ুয়াকে ‘মাওবাদী’ বলে ফের বিতর্কে জড়ালেন বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী (Bidyut Chakrabarty)। সম্প্রতি এক অনলাইন বৈঠকে বক্তব্য রাখতে গিয়ে উপাচার্য সাসপেন্ড হওয়া তিন পড়ুয়াকে ‘মাওবাদী’ তকমা দেন বলে অভিযোগ। উপাচার্যের এই বক্তব্য ঘিরে শোরগোল পড়ে গিয়েছে শান্তিনিকেতনে। সেই বৈঠকের বেশকিছু অডিও ক্লিপ সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়। যদিও সেই ভাইরাল হওয়া অডিও-র সত্যতা যাচাই করেনি ‘দৃষ্টিভঙ্গি’।

কোভিড (Covid19) পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনার জন্য গত ১৫জুন, মঙ্গলবার বিশ্বভারতীতে একটি অনলাইন বৈঠক ডেকেছিলেন উপাচার্য। বৈঠকে শুরু থেকেই বেশ কিছু অধ্যাপকের বিরুদ্ধে তিনি বিষোদ্গার করতে থাকেন বলে অভিযোগ। এরপর বক্তব্য রাখতে এক জায়গায় তাঁকে বলতে শোনা যায়, বোলপুরের বিজেপি প্রার্থী বৈঠক ডাকছেন আর সেখানে হাজির হচ্ছেন বিশ্বভারতীর (Visva-Bharati) অধ্যাপকরা। তিনটে ছাত্র যারা মাওবাদী তাঁদের সঙ্গে বৈঠক করে অনির্বাণ গঙ্গোপাধ্যায় বলছেন উপাচার্যকে বহিষ্কার করব, কেউ কোনও প্রতিবাদ করলেন না। তার মানে উপাচার্য পাঞ্চিং ব্যাগ, যখন খুশি মারতে থাকুন, আপনারা চুপচাপ থাকবেন।

এনিয়েই প্রশ্ন উঠেছে, কী করে একজন উপাচার্য ছাত্রছাত্রীদের মাওবাদী তকমা দেন? এবিষয়ে বিশ্বভারতীর প্রবীণ আশ্রমিক ও ঠাকুর পরিবারের অন্যতম সদস্য সুপ্রিয় ঠাকুর বলেন, এর আগে কখনওই কোনও উপাচার্যকে এমন কথা বলতে শুনিনি। ছাত্রছাত্রীদের মাওবাদী বলা যায়, এ কথা ভাবতেই পারি না। এমন কথা শোনা আমাদের অভ্যাস নেই, নতুন শুনছি। ছাত্রছাত্রীদের ওপর ওঁর এত রাগ কেন বুঝতে পারিনা। এসব শুনে খুব খারাপ লাগল।

উল্লেখ্য, কর্তৃপক্ষের অনির্দিষ্টকালের সাসপেনশন প্রত্যাহারের দাবিতে শান্তিনিকেতন উপাসনা গৃহের কাছে অবস্থানে বসেছিলেন বিশ্বভারতীর অর্থনীতি বিভাগের স্নাতকোত্তর প্রথম বর্ষের ছাত্র ফাল্গুনী পান, সোমনাথ সৌ সহ অন্যান্যরা। বিধানসভা ভোটে বোলপুরের বিজেপি প্রার্থী অনির্বাণ গঙ্গোপাধ্যায় গত ২৫এপ্রিল অবস্থানকারীদের সঙ্গে দেখা করে তাঁদের সমর্থন জানান। পাশাপাশি উপাচার্যের বিরুদ্ধে বিষোদগার করে শীঘ্রই সাসপেনশন প্রত্যাহারের আশ্বাস দেন। কিন্তু উপাচার্য যেভাবে অবস্থানরত পড়ুয়াদের মাওবাদী তকমা দিয়েছেন তাতে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ওই পড়ুয়ারা। এ বিষয়ে তাঁরা বলেন, উপাচার্য আমাদের অভিভাবক সম। উনি যেভাবে আমাদের মাওবাদী তকমা দিয়েছেন তাতে আমাদের ভবিষ্যৎ নিয়ে প্রশ্ন উঠছে, আন্দোলন করা মানেই এমন তকমা দেওয়ার আমরা তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি। সামগ্রিক বিষয়টি নিয়ে বিশ্বভারতীর তরফে কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

ভিডিও

আরও পড়ুন

Decorative Ring
Maa Ashchen